সীমান্ত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে বিশ্বে প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে, চিন ইস্যুতে মন্তব্য ভারতের বিদেশ মন্ত্রীর

  • চিন ইস্যুতে আরও একবার সুর চড়ালেন বিদেশমন্ত্রী 
  • এস জয়শঙ্কর ভারত চিন সম্পর্ক নিয়ে সম্মেলনে বার্তা দেন 
  • আটটি নীতিমালা মেনে চলার কথা বলেন
  • এলএসি মেনে চলার কথাও বলেন 

Asianet News Bangla | Published : Jan 28, 2021 12:19 PM IST

ভারত চিন সম্পর্ক নিয়ে ভার্চুয়াল সম্মেলনে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আরও একবার চিনকে মনে করিয়ে দিলেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গেলে প্রথমে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার নিয়ে যাবতীয় চুক্তি। পাশাপাশি দুই দেশের  পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতাও বজায় রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন একে অপরের আকাঙ্খাকে উদীয়মান এশীয় শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। একই সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আটটি বৃত্তর নীতিমালার রূপরেখা তুলে ধরেন। 

কৃষকদের ১০ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডের নোটিশ, উত্তর প্রদেশ সরকারের থেকে জবাব চাইল আদালত ...

এবার প্যান্টের জিপ খোলাও POCSO আইনে যৌন অপরাধ নয়, রায় দিল বোম্বে হাইকোর্টের ...

ভার্চুয়াল সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের যেকোনও চেষ্টাই সম্পূর্ণভাবে মেনে নেওয়া যাবে না। বিদেশমন্ত্রী বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি পাশ কাটিয়ে জীবন স্বাভাবিক ছন্দে চলবে এমন কোনও প্রত্যাশা করা ঠিক নয়। কারণ ভারত আর চিনের সম্পর্কে আর সত্যিকারের দুটি প্রান্তে অবস্থান করছে। যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তবে তা কেবল দুটি দেশ নয় গোটা বিশ্বেই একটি প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে। তিনি বলেন পূর্বল লাদাখে চিনের পদক্ষেপগুলি কেবল সেনা বাহিনীর সংখ্যা কমিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতির প্রতি অবজ্ঞা করার ইঙ্গিত দেয়নি। পাশাপাশি দুটি দেশের সীমান্ত শান্তি ও প্রশান্তি লঙ্ঘনেরও ইঙ্গিত দেয়। 


এরই মধ্যে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটা লক্ষনীয় যে আজ অবধি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থান ও সেনাবাহিনীর অবস্থান পরিবর্তন নিয়ে বেজিং এখনও পর্যন্ত একটিও নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যা দেয়নি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আটটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা বলেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন এলএসসি পরিচালনায় ইতিমধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তা পুরোপুরি বাস্তবের সঙ্গে মেলাতে হবে। পাশাপাশি ২০২০ সালের ঘটনা ব্যাতিক্রমী চাপ তৈরি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও প্রশান্তি অন্য ডোমেনে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের বিকাশের ভিত্তি। এটি যদি বিঘ্নিত গয় তাহলে অনিবার্যভাবেই এটি সম্পর্কটির বাকি অংশ। 

Share this article
click me!