করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই ক্রমশই বাড়ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রাদুর্ভাব। গত ২ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।
করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ প্রায় কড়া নাড়ছে ভারতের দরজায়। তারই মধ্যে নতুন বিপদ তৈরি করছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (Black Fungus) বা কালো ছত্রাক। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত দুমাসে গোটা দেশের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ভয়ঙ্কর এই রোগে। কোভিড ১৯ মহামারির মধ্যেই এটি গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
তালিবানদের নিয়ে পাকিস্তানি ট্রোলের জবাব আফগান উপরাষ্ট্রপতির, সঙ্গে ৭১এর মুক্তিযুদ্ধের ছবিও
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভারতী পাওয়ার সংসদে বলেছেন, ছত্রাক জনিত রোগে এখনও পর্যন্ত ৪ হাজার ২০০ জন মানুষ মারা গেছেন। সংক্রমণটি আগে এই দেশে বিরল বলে বিবেচিত হত। কিন্তু করোভাইরাস মহামারির সময় এজাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে।সাধারণত কোভিড ১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার মানুষই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লি পুলিশকে পাশ কাটিয়ে কেজরিওয়ালের 'হ্যাঁ', যন্তর মন্তরে সমাবেশ প্রতিবাদী কৃষকদের
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে আরও জানান হয়েছে এটি অত্যন্ত জটিল রোগ। মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে চিকিৎসকরা দ্রুত অপারেশন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার করোনাভাইরাসের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুকর হার ৫০ শতাংশ বলেও জানান হয়েছে সরকারি তথ্যে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৪৮।
মিথ ভেঙে মক্কার নিরাপত্তায় মহিলা সেনা, হজের পবিত্র সময় কর্তব্য পালনে অটল সৌদির মহিলারা
স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাকে বছরে ২০ জনের বেশি ভারতীয়ের আক্রান্ত হওয়ার কোনও রেকর্ড নেই। আগে শুধুমাত্র ডায়াবেটিশ রোগী, এইচআইভি বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারীদের মধ্যেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যেত। তবে এখন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। কোভিড ১৯ রোগের চিকিৎসার জন্য স্টেরয়েডের বেশি ব্যবহারকেই এই রোগের জন্য দায়ি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
হলুদ নদীর জলে ভাসছে চিন, ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতিতে সংকটে শি জিংপিং সেনা নামালেন
একাধিক রাজ্য আর কেন্দ্রীয় সরকার মে মাস থেকেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে এখনও অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য ওষুধের সংকট রয়েছে বলেও আক্রান্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। রাজস্থানে শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবথেকে বেশি বলেও জানিয়েছে স্থানীয় সরকার।