করোনা আর লকডাউনের ধাক্কায় বেসামাল উড়াল শিল্প, ১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটল ইন্ডিগো

  •  লকডাউনের কারণে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ ছিল উড়ান পরিষেবা
  • এখন পরিষেবা চালু হলেও সেভাবে যাত্রী হচ্ছে না
  • এই দুইয়ের জেরে ধুঁকছে দেশের বিমান শিল্প
  • এই পরিস্থিতিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিল ইন্ডিগো

Asianet News Bangla | Published : Jul 20, 2020 4:16 PM IST / Updated: Jul 20 2020, 09:50 PM IST

করোনা সংক্রমণের কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে দেশে শুরু হল লকডাউন। তারপর থেকেই ব্যবসাপাতি প্রায় বন্ধ বিমান সংস্থাগুলির। দীর্ঘ দিন উড়ান বন্ধ থাকার পর  আনলক ভারতে  সম্প্রতি সেই পরিষেবা শুরু হলেও সংক্রমণের আশঙ্কায় সেভাবে যাত্রী মিলছে না। এই পরিস্থিতিত আর উপায় নেই জানিয়ে এবার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়ে দিল দেশের বৃহত্তম বেসরকারি উড়ান সংস্থা ইন্ডিগো।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ রয়েছে দেশে। ২৫ মে থেকে অন্তর্দেশীয় বিমানের উড়ানে ছাড়পত্র মিললেও, এই মুহূর্তে হাতেগোনা কিছু বিমানই চলাচল করছে। বিমান শিল্পের পরিস্থিতি যা তা সামলাতে প্রায় ২ বছর সময় লাগবে। সপ্তাহ খানেক আগেই একথা বলেছিলেন ইন্ডিগো বিমান সংস্থার প্রধান রণজয় দত্ত। এবার পরিষেবা বজায় রাখতে সংস্থা ১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানালেন তিনি।

আরও পড়ুন: বর্ষার পর শীতেও আসবে আরও বড় বিপদ, আইআইটি-এইমসের গবেষণায় ঘনালো আশঙ্কার কালো মেঘ

ইন্ডিগো বিমান সংস্থার সিইও  রণজয় দত্ত সোমবার বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী সবাইকে কিছু না কিছু আত্মত্যাগ করতে হচ্ছে। আমাদের কোম্পানিকে প্রবল অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই অবস্থাতে কিছু আত্মত্যাগ না করলে আর আকাশে ওড়া যাবে না। তাই আমাদের সংস্থার ব্যবসা বজায় রাখতে অপ্রিয় হলেও কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। মোট কর্মচারীর ১০ শতাংশকে আমরা ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

আরও পড়ুন: হাজার সমালোচনার মধ্যেও ম্যাজিক অব্যাহত, মহামারী ও লকডাউনের সংকটকালেও জনপ্রিয়তায় নজির মোদীর

বর্তমানে দেশের বৃহত্তম বেসরকারি উড়ান সংস্থা ইন্ডিগোর মোট কর্মীসংখ্যা ২৩ হাজার ৫৩১। এঁদের মধ্যে ১০ শতাং কর্মীকে  ছাঁটাই করলে অনেকেই চাকরি হারাবেন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৩৫০ জনকে ছাঁটাই করা হবে। কিন্তু এ ছাড়া উপায় নেই বলে জানাচ্ছেন রণজয় দত্ত। এই সিদ্ধান্ত নিতে কর্তৃপক্ষেরও খুব কষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেন ইন্ডিগো সিইও।  তিনি বলেন, ‘আনলক ওয়ান চালু হওয়ার পর থেকে শত অসুবিধা সত্ত্বেও আমরা সমস্ত কর্মীদের নিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু, দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তাই সবদিক বিচার বিবেচনা করে যাত্রীদের সঠিক পরিষেবা দেওয়ার জন্যই এই দুঃখজনক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম আমরা। ইন্ডিগোর ইতিহাসে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা আগে কখনই হয়নি।’

Share this article
click me!