বজরং দল নিয়ে 'লঙ্কাকাণ্ড' কর্ণাটকের রাজনীতিতে, নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আসরে কমিশন

কর্ণাটকের রাজনীতিকে এবার ইস্যু বজরং দল। কংগ্রেস বিজেপি যুযুধান। চলছে কুকথার বন্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আসরে নির্বাচন কমিশন।

 

Web Desk - ANB | Published : May 2, 2023 4:43 PM IST

বিষকন্যা, বিষধর সাপ, নালায়েক বেটা বা অযোগ্য সন্তানেরের পর এবার কর্ণাটক ভোটের নতুন ইস্যু বজরংদল। মঙ্গলবার কংগ্রেস ইস্তেবার প্রকাশ করেছে। সেখানে বজরংদল-সহ একাধিক ধর্মীয় দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর তাই নিয়ে শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি নেতারা। সেই তালিকায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। কর্ণাটক নির্বাচনের ভোট প্রচারে কুকথার বন্যা বইছে। এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলি ও তাদের তারকা প্রার্থীদের সংযত হতে বলেছে। একটি বিবৃতিও জারি করেছে। যদিও আগেই কংগ্রেস বিজেপি দুই যুযুধান রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে একে অপেরর বিরুদ্ধে নালিশ ঠুঁকে এসেছিল।

কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে বজরংদল-সহ একাধিক ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন মোদী বলেন, একটা সময় কংগ্রেস ভগবান শ্রীরামকে তালাবন্ধ করে রেখে দিয়েছিল। এখন যারা বজরংবলির ভক্ত তাদেরও তালাবন্ধ করে রাখার চেষ্ঠা করেছে। পাশাপাশি তিনি এদিন সভামঞ্চ থেকেও জয় বজরংবলি স্লোগান দেন। মোদী বিজয়নগর জেলায় একটি নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন। সেখানে তিনি বলেন, 'আমি হনুমানের দেশে এসেছি। আমি ভাগ্যবান যে আমি হনুমানের দেশে প্রণান করার সুযোগ পাচ্ছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে দেখুন আমি যখন হনুমানের মাটিতে দাঁড়িয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে চাইছি তখন কংগ্রেস পার্টি তার ইস্তেহারে সেই ভগবান হনুমানকেই তালাবন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' এখানেই শেষ না করে মোদী বলেন প্রথমে কংগ্রেস ভগবান শ্রী রামকে তালাবন্ধ করে রাখার চেষ্টা করেছিল। এখন হনুমানের প্রতি একই আচরণ করছে। বিজেপির অভিযোগ কংগ্রেস ভগবান হনুমানকে অপমান করেছে। কর্ণাটকের জনগণ কংগ্রেসকে উপযুক্ত জবাব দেবে বলেও জানিয়েছে বিজেপি নেতারা।

কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তেহারে বলেছেন, বজরং জল ও পিএফআই-এর মত সংগঠনের ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করবে যদি ক্ষমতায় আসে। তীব্র সমালোচনার পরেই কংগ্রেস তাদের অবস্থান থেকে সরছে না বলেও জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপি নেতা অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক অভিযোগ করছে। বলেছেন বিজেপি নেতারা বিভাজনের রাজনীতি করছে। তাদের প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির করারও দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।

অন্যদিকে বিজেপি কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও তাঁর ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়গের প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানিয়েছেন। কারণ বাবা মোদীকে বিষধর সাপের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। আর ছেলে মোদীকে অযোগ্য ছেলে বলে আক্রমণ করেছিলেন। দুজনের বিরুদ্ধে তারা এফআইআর করারও দাবি জানিয়েছে।

যাইহোক নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয়নি। সমস্তা রাজনৈতিক দল ও স্টার প্রচারকদের ভাষণে সংযম বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছএ। তাদের ব্যবহার নিয়েও সতর্কতা জারি করেছে। অন্যিদকে নির্বাচনের জন্য সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে। অনুপযুক্ত শব্দ বা ভাষা ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। ইসি এক বিবৃতিতে বলেছে, এই ধরনের ঘটনা বিভিন্ন অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ এবং নেতিবাচক মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রচারের সময় রাজনৈতিক বক্তৃতার মর্যাদা বজায় রাখতে এবং প্রচারে ও নির্বাচনী পরিবেশকে নষ্ট না করার জন্য সমস্ত দল এবং নেতাদের তাদের বক্তব্যে আদর্শ আচরণবিধি এবং আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকা অপরিহার্য।

Read more Articles on
Share this article
click me!