যেকোনও বয়সি মানুষ, বিশেষত অপ্রাপ্তবয়স্ক মানুষরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই সম্ভাবনা এড়াতে এবার অভিনব পরামর্শ দিলেন বিচারপতি।
ভোট দেওয়ার অধিকার থাকলে, তবেই, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার অধিকার থাকবে, এমনই পরামর্শ দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালতের বিচারপতি বলেছেন যে, এই নিয়ম সমগ্র "জাতির জন্য ভালো' হবে।
যদি শিশুদের, বিশেষ করে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সীমাবদ্ধ করা হয় এবং তারা ভোট দেওয়ার অধিকার পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারে, সেটাই তাদের জন্য মঙ্গলকর হবে বলে মনে করেন বিচারপতি পি বসন্তকুমার। এজন্য তিনি, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার শুরু করার বয়স ১৮ থেকে ২১-এর মধ্যে করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিচারপতি জি নরেন্দর এবং বিজয়কুমার এ পাটিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ, এক্স বা টুইটার-এর করা রিট আপিলের উপর শুনানি করার সময় বলেছেন যে, স্কুলগামী শিশুরা সোশ্যাল মিডিয়াতে এতটাই আসক্ত হয়ে পড়ছে যে, তাদের জন্য এই ব্যবহার কিছুটা সীমাবদ্ধ থাকলেই ভালো হবে।
বেঞ্চ ইঙ্গিত দিয়েছে যে, প্রশ্নে থাকা বিষয়বস্তুটি তথ্য প্রযুক্তি আইন, 2000 এর ধারা 69A (1) এবং (2) লঙ্ঘন করে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। বিচারপতির মন্তব্য "যদি এই বিধানগুলি লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে আপিলকারী (এক্স-কে) ব্লকিং-এর আদেশ মেনে চলতে হবে।”