'আরএসএস-কেও নিষিদ্ধ করা উচিত',পিএফআই-কে নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য কংগ্রেস ও আইইউএমএল-এর

২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে  একটি বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পিএফআইকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে ইসলামপন্থী সংগঠন এবং এর সহযোগীরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। 

Ishanee Dhar | Published : Sep 28, 2022 11:43 AM IST

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল কেরালা কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল)। বুধবার গভীর রাতে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে পলুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-কে নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধানন্তের কথা জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল) বলেছে একই যুক্তিতে নিষিদ্ধ করা উচিত আরএসএসকেও। 

শুধু তাই নয় সিনিয়র আইইউএমএল নেতা এম কে মুনির কন্ঠে দুই সংগঠনের কার্যকলাপের তীব্র সমালোচনা সোনা গেল। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, "উগ্রবাদী এই দল কোরানের ভুল ব্যাখ্যা করে মানুষ্কে সহিংসতার পথ অবলম্বন করতে বাধ্য করছে। পিএফআই শুধু মাত্র তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তাই নয়, গোটা সমাজে বিভাজন ও ঘৃণার রাজনীতি তৈরির চেষ্টা করছে।" 

পাশাপাশি মুনির আরও বলেন যে আইইউএমএল সর্বদা আরএসএস এবং পিএফআই-এসডিপিআই উভয়ের কাজের বিরোধিতা করেছে। আরএসএস এবং পিএফআই-এর কাজের নিন্দা করে তিনি জানান, "এই সংগঠনগুলি বাচ্চাদেরও অবমাননাকর স্লোগান তুলতে বাধ্য করে। কোন ইসলাম তাদের তা করতে প্ররোচিত করে?" 

আরও পড়ুন9/11 Anniversary : ভাই জোসেফ-কে আজও খোঁজেন চেরিয়ান, ৯/১১- মানে তাঁর কাছে প্রিয়জনকে হারানোর দিন

মুনিরের মন্তব্যকে সমর্থন করে সিনিয়র কংগ্রেস নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ চেনিথালা কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে "ভালো সিদ্ধান্ত" বলে উল্লেখ করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, "একইভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত আরএসএসকেও। সংখ্যাগরিষ্ঠ সাম্প্রদায়িকতা এবং সংখ্যালঘু সাম্প্রদায়িকতা উভয়েরই সমান বিরোধিতা করা প্রয়োজন। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়ে সমাজে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করে এরা।"

আরও পড়ুনNIA-র তল্লাশি অভিযান কলকাতার পার্ক সার্কাসে, দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ শেখ মোক্তারের বিরুদ্ধে 

২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে  একটি বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পিএফআইকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে ইসলামপন্থী সংগঠন এবং এর সহযোগীরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। যার জেরে বিঘ্নিত হচ্ছে দেশের শৃঙ্খলা। তাই সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে অক্ষুন্ন রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন-  রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় চিনের মুখোশ খুললেন জয়শঙ্কর, কড়া বার্তা পাকিস্তানকেও 

 

Share this article
click me!