সতীসান বলেন, “যদি কোনও খবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এই দলটা যেভাবে একটা মিডিয়া হাউসে ঢুকে গুন্ডামি দেখিয়েছে, সেটা মর্মান্তিক এবং নিন্দনীয়।
শুক্রবার, সন্ধ্যার অন্ধকারে এশিয়ানেট নিউজের অফিসে হঠাতই দল বেঁধে ঢুকে পড়েন এসএফআই-এর কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে ছিল বিশাল ব্যানার, ফেস্টুন। সেগুলিতে আবার এশিয়ানেট নিউজের লোগোতে লাল কালি-তে ক্রস চিহ্ন দেওয়া। এশিয়ানেটের অফিসে ঢুকেই নিরাপত্তারক্ষীদের গায়ের জোরে ধাক্কা দিতে দিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এর জেরে পরিস্থিতি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। কোচির এই ঘটনার পর অবশেষে মুখ খুললেন কোনও রাজনৈতিক নেতা। তিনি কেরলের প্রধান বিরোধী দলনেতা ভি ডি সতীসান।
এশিয়ানেট নিউজের কোচি আঞ্চলিক অফিসে এসএফআই কর্মীদের হামলা করার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেস নেতা ভি ডি সতীসান। তিনি জানিয়েছেন যে, এটি একটি সর্বগ্রাসী রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে। এমন ঘটনা কেরলে আগে কখনও শোনা যায়নি।
হামলাকারী এসএফআই কর্মীদের অভিযোগ ছিল, এশিয়ানেট নিউজের পক্ষ থেকে মিথ্যা খবর প্রদর্শন করা হয়েছে। যদিও সেই দাবির ভিত্তিতে কোনও প্রমাণ তাঁরা দেখাতে পারেননি। তা সত্ত্বেও, খবর যদি মিথ্যা হয়, সেক্ষেত্রে সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এই বিষয়টিকে উল্লেখ করে সতীসান বলেন, “যদি কোনও খবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এই দলটা যেভাবে একটা মিডিয়া হাউসে ঢুকে গুন্ডামি দেখিয়েছে, সেটা মর্মান্তিক এবং নিন্দনীয়। এসএফআই-এর এরূপ পদক্ষেপ প্রগতিশীল কেরলের পক্ষে অপমানজনক। দিল্লিতেও এটা ঘটছে। মিডিয়াকে ভয় দেখানোর সুর ফ্যাসিবাদী যুগের কথা মনে করিয়ে দেয়। কেরলের উচিত, একসাথে দাঁড়ানো এবং এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা। বিরোধীরা বিধানসভায় এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। এগুলো সবকিছুই ষড়যন্ত্র এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এটাকে বিচারের আওতায় আনুন।’
পালারিভাট্টমে এশিয়ানেট নিউজের কোচি আঞ্চলিক অফিসে শুক্রবার এই তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ অফিসের মধ্যে ঢুকে কর্মীদের ভয় দেখাতে শুরু করেন সেই রাজ্যের শাসকদল বামফ্রন্টের সমর্থক এসএফআই দলের কর্মীরা। পুলিশ এলেও পুলিশের সামনেই তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ বিক্ষোভরত ছাত্রনেতাদের এশিয়ানেট নিউজের দফতর থেকে বের করে আনে। পালারিভাট্টাম থানায় এসএফআই ছাত্রদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন কোচির রেসিডেন্সিয়াল এডিটর অভিলাস জি নায়ার। পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লেখেন বিক্ষোভের জেরে অফিসে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এবং অভিযুক্তরা শুধু অফিসেই ঢোকেনি, সেই সঙ্গে গায়ের জোর প্রয়োগ বিক্ষোভও দেখাতে থাকে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া।
৩৪ ডিগ্রিতে পৌঁছে গেল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, শনিবার কোন কোন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস?
যিনি নজর কাড়েন, তিনিই গারদে পাঠান, ভারতের এই সুন্দরী পুলিশকর্মী ঘুষি মেরে ফেলে দিতে পারেন দাঁতও
আজ বাঙালির শৈশবের ঝরা পাতার দিন, ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার সাহিত্য জগত