ভারত-চিন শেষ দফার সামরিক বৈঠেকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখায় নিয়ে কিছু সমস্যা থেকেই গিয়েছিল। আশা করা হয়েছিল সেই জট কাটিয়ে ওঠা যাবে কূটনৈতিক বৈঠকে। কিন্তু কূটনৈতিক বৈঠকেও তেমনভাবে মিলল না কোনও সমাধান সূত্র। বৃহস্পতিবার ভারতীয় ও চিনা কৃটনৈতিকদের মধ্যে আলোচনায়ে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমা রেখায় নিয়ে দুই দেশের অবস্থায় আপাতত একই রয়েগেছে। বৈঠকে তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি বলেও সূত্রের খবর। তবে বিষয়টি নিয়ে ভারত আরও আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত বলেও সরকারি সূত্রের পাওয়া খবরে জানান গেছে।
প্যাংগং লেক নিয়ে চিন এখনও পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। চিনা সেনারা এখনও পর্যন্ত ৪ নম্বর ফিঙ্গারের রিজলাইনটি দখল করে রেখেছে বলেই অভিযোগ ছিল ভারত। অন্যদিকে সামরিক ও কূটনৈতিক বৈঠকের পরেও গোগরা-হটস্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরানোর কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। উল্টে প্যাংগংএ রীতিমত ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান করছে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। এর আগেও একাধিকবার চিন এই দুটি এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা বলছে। তবে তেমনও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উল্টে বেজিং থেকে চিনের বিদেশ মন্ত্রক বারবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে সেনা সরানোর কাজ শেষ হয়েছে। তাই প্যাংগং থেকে গোগরা আর হটস্প্রিং এলাকায় চিনাদের গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে, গংগ্রাস ও কনখালা এলাকায় নিয়ে। সূত্রের খবর এই দুটি এলাকা নিয়ে এখনও তীব্র মতপার্থক্য রয়েছে দুই দেশের মধ্যে।
উত্তরাখণ্ড সীমান্তে সক্রিয় লাল ফৌজ বাড়াচ্ছে নজরদারি, সতর্ক করল গোয়েন্দারা ...
ড্রাগনের নজরে কালাম দ্বীপ আর তেজপুর এয়ারবেস, মায়ানমার সীমান্তে বসানো হয়েছে রেডার .
বৃহস্পতিবার ডাবলু এমসিসির বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও নর্থব্লক থেকে লাদাখ সমস্যা সমাধানে তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি বলেই দাবি করেছেন এক সরকারি কর্তা। যদিও বেজিং জানিয়েছে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে যে উত্তাপ বাড়ছিল তা কিছুটা হলেও কমানো গেছে। তবে পাল্টা হিসেবে দিল্লি বলেছে ভারত ও চিন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আন্তরিকভাবেই মত বিনিয়ম করছেন দুই দেশ।প্রথম থেকে ভারতের একটাই দাবি ছিল যে চিনা সেনাকে এপ্রিলের আগের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। সেই দাবিতে এখনও পর্যন্ত অনড় রয়েছে ভারত। একটি সূত্র বলছে ধীরে ধীরে কিছুটা হলেও সুর নমর করছে বেজিং।