'একটু একটু করে ভারতীয় ভূখণ্ড গ্রাস করছে চিন', সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে অভিযোগ লাদাখের বিজেপি নেত্রীর

ভারতীয় ভূখণ্ড গ্রাস করছে চিন
সোশ্যাল মিডিয়া ছবি দিয়ে অভিযোগ
গালওয়ানের অনেক আগে থেকেই চলছে দখল
অভিযোগ বিজেপি নেত্রীর 

Asianet News Bangla | Published : Jun 28, 2020 1:58 PM IST / Updated: Jul 01 2020, 09:59 AM IST

গালওয়ান একদিনে হয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই একটু একটু করে চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। এই দাবি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নয়। এই দাবি করেছেন লাদাখের বিজেপি নেত্রী উরগেন শোদন। তিনি সিন্ধু অববাহিকার পাহাড় ঘেরা গ্রাম নায়য়োমার বাসিন্দা। লাদাখ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আগে তিনি ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। বর্তমানে তিনি বিজেপির টিকিটে জয়ী নায়মোয়া ব্লক উন্নয়ন পর্যদের সভানেত্রী। 

গত ১১জুন থেকে উরগেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি স্টিল ও ভিডিও ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেন চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির কার্যকলাপ। পাশাপাশি ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তিনি লেখেন গালওয়ানে যা চলছে তা নিয়ে কারও কোনও চিন্তাভাবনা নেই। একটা নতুন কোনও পদক্ষেপও নয়। কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কোনও সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেন বিজেপি নেত্রী। 


স্থানীয়দের কথায় বেশ কয়েক বছন ধরেই এই গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় চিনা সেনার উপস্থিতি বাড়ছে। তাই স্থানীয়দের চারণভূমি হারাতে হচ্ছে। এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই পশু চারণের সঙ্গে যুক্তে। সেই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি উরগেন। তার কথায় নায়য়োমা থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও প্যাংগন লেক। 

গালওয়ানে ভারত-চিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল গত ১৬ জনু। তার চার দিন আগেই উরগেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কতগুলি ছবি পোস্ট করেন। তারসঙ্গে তিনি লেখেন, চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা ভারতীয় ভূখণ্ডের ৬ কিলোমিটার ভিরতে প্রবেশ করেছে। তারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু ভারতীয়দের তিব্বতী ধর্মগুরুর জন্মদিন পালনে বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও লিখেছেন ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেও সংলগ্ন জমি তারা নিজেদের বলে দাবি করেছিল। 


সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একটি পোস্টে উরগেন বলেছেন, গ্রামবাসীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে এটা চিনের জমি। এই জমি চারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। 


তিনি আরও বলেছেন এটা সাম্প্রতিক ঘটনা নয়। ২০১৫ সাল থেকেই চিনি বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। এপ্রিলে ওই এলাকায় ৩০০-৩৫০ চিনা যানবাহনেরও গতিবিধিও তিনি লক্ষ্য করেছিলেন। 

স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন চারণভূমিতে ভারতীয় যাযাবরদের যেতে দেওয়া হয় না। বাধা দেয় ভারতীয় সেনারা। কিন্তু অন্যপ্রান্ত চিন ভারতীয় ভূখণ্ডে তিব্বত থেকে মেশপালকদের পাঠায়। তাদের মাধ্যমেই জমি দখল করে বলেও অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানোর পরেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ স্থানীয় নেতৃত্বের। 
 

Share this article
click me!