আরেকদিকে, নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীর ছেড়ে না যাওয়া পণ্ডিতদের ক্ষতি করবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছে ওই জঙ্গি সংগঠন। Lashkar E Taiba related Terrorist group Threatened Kashmiri Pandit Government officers of India
কেন্দ্র সরকারি হস্তক্ষেপের পরও কাশ্মীর উপত্যকায় অশান্তি অব্যাহত। ভারত সরকারের তথ্য় অনুযায়ী, অন্যান্য বছরগুলির তুলনায় ২০২২ সালে উপত্যকা শান্তই রয়েছে। কিন্তু, বাস্তব ছবি বলছে অন্য কথা। এবার কাশ্মীরে কর্তব্যরত সরকারি পণ্ডিত অফিসারদের প্রাণে মারার হুমকি দিল লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের একটি শাখা।
১৭ ডিসেম্বর, শনিবার লস্কর জঙ্গি সংগঠনের শাখা সংগঠন ‘দ্য রেসিস্টেন্স ফোর্স’ কাশ্মীরি পণ্ডিত অফিসারদের উদ্দেশ্যে একটি হুমকি পাঠায়। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা বরাবর ‘ভিক্টিম’ বা পরিস্থিতির শিকার হিসাবে নিজেদের প্রদর্শন করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে দাবি করে ওই জঙ্গি সংগঠন।
জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের ছ’জন আধিকারিকের কাছে এই হুমকি বার্তা পাঠিয়েছে ‘দ্য রেসিস্টেন্স ফোর্স’। প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের অংশ বলেও উল্লেখ করা হয় এই ছয় আধিকারিককে। টিআরএফের হুমকি চিঠিতে লেখা ছিল, “এই তালিকা হল তাদের চোখ খোলার জন্য, যারা পরিযায়ী পণ্ডিতদের নিয়ে সহমর্মিতা দেখান।”
উক্ত হুমকি চিঠিতে যে ৬ জন কাশ্মীরি আধিকারিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সেটিতে ওই আধিকারিকদের সমগ্র বিভাগকেই সতর্ক করা হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। মূলত শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকদেরই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের শাখা সংগঠনটি নিশানা করেছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গেছে। ওই জঙ্গি সংগঠন মনে করে, নব্বইয়ের দশকে ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের তুরুপের তাস হিসাবে কাজ করেছিল এই সরকারি আধিকারিকরা। বর্তমানে এরাই ‘সঙ্ঘ’-এর উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্য়ে কাজ করছে।
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের সৈন্যরা দিল্লিকে সেবা করার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং সেই মতো সমস্ত বিভাগের ভারতীয়করণের চেষ্টা করছে। উনিশশো নব্বইয়ের দশকে এরা গোয়েন্দা বিভাগের হাতের পুতুল ছিল। এখন তারা সংঘের উদ্দেশ্যপূরণের জন্য কাজ করছে। নিজেদের পদ ছাড়াও এদের আলাদা দায়িত্ব দেওয়া আছে। এই তালিকায় যে কম পদমর্যাদার কর্মীদের নাম উল্লেখ রয়েছে, তাদের হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের দেখভালের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। এটা শুধু একটিমাত্র বিভাগে নয়। সমস্ত বিভাগেই দিল্লির স্পনসর করা প্রতিনিধিরা রয়েছে। এই তালিকা অতি দীর্ঘ। শীঘ্রই এই বিশ্বাসঘাতকদের রক্ত ঝরবে। তবে আমরা একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই, যে সমস্ত কাশ্মীরি পণ্ডিতরা উনিশশো নব্বইয়ের দশকে উপত্যকা ছেড়ে যাননি, এখানেই থেকে গিয়েছিলেন, তাঁদের চিন্তার কোনও কারণ নেই।”
আরও পড়ুন-
কাপ হাতে নেচে উঠলেন লিওনেল মেসি, উন্মাদনায় ফেটে পড়ল আর্জেন্টিনার জয়ের উদযাপন
‘যুব ছাত্র’ বনাম ‘বঙ্গীয় ন্যায্য’ অধিকার মঞ্চের দ্বন্দ্বে কতটা কার্যকর হবে কলকাতার রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীদের ‘মহামিছিল’?
কুয়াশার কোপে বছরের পর বছর ধরে ভুক্তভোগী হরিয়ানা, একই দিনে দুর্ঘটনার কবলে ৩০টি গাড়ি