মাওবাদীদের ডোরায় বন্দি সিআরপিএফ জওয়ান, মুক্তির আর্জি পরিবারের

 

  • মাওবাদী ডেরায় বন্দি সিআরপিএফ জওয়ান 
  • মুক্তির আবেদন জানাল পরিবার 
  • ছবি প্রকাশ করল মাওবাদীরা 
  • শনিবার থেকেই মাওবাদীদের হেফাজতে জওয়ান 

Asianet News Bangla | Published : Apr 7, 2021 12:53 PM IST

অবশেষে মাওবাদীরা জানিয়ে দিন সিআরপিএফ জওয়ার রাকেশ্বর সিং মানহাস তাদের হাতে বন্দি রয়েছে। মাওবাদীদের পক্ষ থেকে এদিন একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছেন পাতায় ছাওয়া একটি অস্থায়ী কুঁড়ে ঘরে হলুদ প্ল্যাস্টিক শিটের ওপর বসে রয়েছে কোবরা জোওয়ান রাকেশ্বর। ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছে দণ্ডকারন্য বিশেষ জোনাল কমিটি তরফ থেকে। সঙ্গে একটি প্রেসনোটও জারি করা হয়েছে। ছবিটি প্রকাশের পরেই জওয়ানকে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান হয়েছে। 

ভোটের পরে মমতার সঙ্গে যাবে কংগ্রেস, কী বললেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী ..

করোনা টিকা নিয়ে সতর্কতা, জেনে নিন কাদের কাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে না
মাওবাদীরা রাকেশ্বরের যে ছবি প্রকাশ করেছে তাতে তাঁকে নির্ভিক মানসিকতার ছবিও ধরা পরেছে। গত দুতিনদিনের না কাটা দাড়িতে কিছুটা হলেও বিধ্বস্ত তিনি। ছবিটি সম্ভবত সুকমার কোনও মাওবাদী ক্যাম্প থেকে তোলা হয়েছে। সূত্রের খবর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে রাকেশ্বরের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাথাযথ পদক্ষেপ করার আবেদন জানান হয়েছে। জওয়ানের স্ত্রী জানিয়েছেন ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পর যদি কাজে যোগদিতে একদিনও দেরি হয় তাদের জওয়ানদেরশাস্তির বিধান রয়েছে। তবে কিন্তু গত তিন এপ্রিল থেকে তাঁর স্বামী নিখোঁজ রয়েছে। অবিলম্বে সরকার যাতে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে তার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।  


গত শনিবার ছত্তিশগড়ের সুকমায় এনকাউন্টাকরের সময় থেকে নিখোঁজ ছিল সিআরপিএফ জওয়ান। প্রথম দিকে মাওবাদীদের তরফেও রাকেশ্ব সম্পর্কে কেনও তথ্য দেওয়া হয়নি। পরবর্তীকালে এক সাংবাদিককে ফোন করে জানান হয়েছিল রাকেশ্বর তাদের হেফাজতে রয়েছে। তারপরই জওয়ানের পরিবার থেকে মুক্তির দাবি জানান হয়েছে। শনিবার ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে ২২ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৩১ জন। সূত্রের খবর এনকাউন্টারে এক মাওবাদী নেত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মাওবাদী নেতা হিদমা এনকাউন্টারের সময় উপস্থিত ছিল বলেও দাবি করছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। 
 

Share this article
click me!