মেঘালয়ে ত্রিশঙ্কু হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে এক্সিট পোল। গণনার আগের রাতেই কনরাড সাংমা ও হেমন্ত বিশ্বশর্মার বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
মেঘালয় ও অসমের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে মধ্যরতের বৈঠক। ভোট গণনার মাত্র এক দিন আগেই গভীর রাতে দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খোলেননি কেউ। সূত্রের খবর বুধবার মধ্যরাতে অসনের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। দুটি দল জোট বেঁধেই মেঘালয়ের শাসনের দায়িত্ব পালন করেছিল গত পাঁচ বছর ধরে। যদিও ভোট যুদ্ধ দুটি বিজেপি ও ন্যাশানাল পিপিলস পার্টি বা এনপিপি এককভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তারপর গভীর রাতে বৈঠক কেন? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সূত্রের খবর অসনের রাজধানী গুয়াহাটির একটি হোটেলে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয়। গোপন রাখা হয়েছে বৈঠকের কথা। সূত্রের খবর নির্বাচন পরবর্তী জোট সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পরই বৃহস্পতিবার ভোররাতেই কনরাড সাংমা নিজের রাজ্য মেঘালয়ে চলে গেছেন। বর্তমানে তিনি রয়েছেন তুরাতে।
মেঘালয়ে বিজেপিকে জায়গা করে দিতে ২০১৬ সালে একটি বড় ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন কনরাড সাংমা। সেই সময় তিনি কংগ্রেসকে হারিয়ে সরকার গঠন করার জন্য বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির রাজনীতিবিদদের মধ্যে তিনি একজন প্রথম সারির রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত। তবে একাধিক এক্সিট পোল যখন জানিয়ে দিয়েছিল মেঘালয়ে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, তখন সাংমা অবশ্য জোট করে সরকার গঠনের কথা বলেছিলেন।
বিজেপি ও এনপিপি জোট নিয়ে কোনও কথা বলেনি। সূত্রের খবর সাংমা গতরাতে গুয়াহাটির একটি বড় হোলেটে ছিলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা আবার উত্তর পূর্ব উন্নয়ন জোট বা এনইডিএ-র প্রধান। তবে এই জোট আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছে পরিস্থিতি যাইহোক না কেন কংগ্রেস বা তৃণমূলের সঙ্গে এই জোট সরকারের যাবে না।
হেমন্ত বিশ্ব শর্মা-সহ একাধিক বিজেপি নেতার দাবি উত্তর পূর্বে দুই রাজ্যেই বিজেপি সরকার গঠন করবে। শুধুমাত্র মেঘালয় বিধানসভাই ত্রিশঙ্কু হবে।
আরও পড়ুনঃ
ত্রিপুরার এক্সিট পোল মানতে নারাজ বাম-কংগ্রেস-বিজেপি, জানুন কোন দলের কী মত
BREAKING NEWS: কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ মণীশ সিসোদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈনের