তামিলনাডু়তে শুরু হল নয়া যুগের। বিধানসভা ভোটে বড় জয় তুলে নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আজ শপথ নিলেন এমকে স্ট্য়ালিন। এই প্রথম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন স্ট্যালিন। তামিল রাজনীতির পুরোধা এম করুনানিধির ছোট ছেলে স্ট্যালিন হলেন রাজ্যের ১৪তম মুখ্যমন্ত্রী। এআইএডিএমকে-র এদাপ্পাদি কে পালানিস্বামি-র স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। ২৩৪ আসনের তামিলনাডু় বিধানসভায় স্ট্যালিনের নেতৃত্বে ডিএমকে জেতে ১৩৩ আসনে। ডিএমকে-র শরিক দল কংগ্রেস জেতে ১৮টি আসনে। বিরোধী এআইএডিএমকে সেখানে জেতে ৬৬টি ও বিজেপি ৪টি আসনে। এআইএডিএমকে-র জমানার অবসান ঘটিয়ে দশ বছর পর ক্ষমতায় ফিরল ডিএমকে। ১০ বছর আগে ডিএমকে-র মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন করুণানিধি। আর এবার সেই সিংহাসনে তাঁর ছোট ছেলে।
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে এসে চলেছে সাহায্য, নেদারল্যান্ডস-পোল্যান্ড থেকে এল অক্সিজেন কনসেনট্রেটর
করুণানিধির মৃত্যুর পর ডিএমকে বড় সঙ্কটে পড়েছিল। পারিবারিক বিবাদে, দুর্নীতির অভিযোগে ডিএমকে-র ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছিল। করুণানিধির বড় ছেলে এমকে আলাগিরির সঙ্গে স্ট্য়ালিনের বিবাদ দীর্ঘদিনের। বড় ছেলে হিসেবে আলাগিরিই ডিএমকে-র দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছোট ছেলের মধ্যে বেশ কিছু বিরল গুণ দেখে করুণানিধি স্ট্যালিনকেই দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন।
বাবার মৃত্যুর পর গত কয়েক বছর যেভাবে ঠান্ডা মাথায় কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে ক্ষমতায় আনলেন স্ট্যালিন তার প্রশংসায় রাজনৈতিক মহল। স্ট্যালিনের মন্ত্রিসভায় আজ ৩৩জন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শপথ নিচ্ছেন। মন্ত্রিসভায় নতুন মুখের ভিড়। তবে দলের প্রবীণ নেতাদেরও মন্ত্রী করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের কাছে থাকছে স্বরাষ্ট্র দফতর, অল ইন্ডিয়া সার্ভিস, বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের কল্যাণের মত মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রিত্ব করার রেকর্ড করুনানিধির দখলে (১৮ বছর ৩৬০ দিন)। দক্ষিণের অন্য রাজ্যগুলির মত তামিলনাড়ুতেও প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পালাবদল ঘটে। ২০১৬ সালে ক্ষমতায় ছিল এআইএডিএমকে, এবার সিংহাসনে ফিরল ডিএমকে।