মহা কুম্ভ মেলা ২০২৫ বর্তমানে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। দিব্যা জ্যোতি জাগৃতি প্রতিষ্ঠানের চন্দুলন প্রকল্পের মাধ্যমে ‘নারী কুম্ভ: সত্যযুগের সঙ্গম’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। বৈদিক যুগের গৌরব এবং নারীদের অগ্রগতির সমন্বয়ে, এই অনুষ্ঠানটি তাদের সর্বাত্মক উন্নয়নের জন্য নিবেদিত ছিল।
এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন শ্রীমতী বিজয়া রাহাতকর, উত্তরপ্রদেশ রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপাসন ডঃ ববিতা সিং চৌহন এবং আইএএস অফিসার ডঃ রশ্মি সিং-র মতো বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তেমনই অনুষ্ঠানে আইনজীবী, বিচারক, অধ্যাপক, শিক্ষক, মহিলা উদ্যোক্তা, পরিবেশবাদী, লেখক এ সমাজকর্মী-সহ ২০০০ জনেরও বেশি মহিলা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানের মূল বৈশিষ্ট্য
দিব্যা মঞ্চ অনুষ্ঠান- দিব্যা গুরু আশুতোষ মহারাজ জির শিষ্যরা মঞ্চ অনুষ্ঠান, সেমিনার এবং সঙ্গীত পরিবেশনা পরিচালনা করেছিলেন।
সুর অনুষ্ঠান- বুন্দেহে হারবোলা কে মুন… এর মতো কবিতা সঙ্গীতের সঙ্গে পরিবেশিত হয়েছিল, যেখানে সমস্ত মহিলারা উৎসাহের সঙ্গে অংশ নেন।
পুরষ্কার বিতরণী- সমাজে অসামান্য অবদান রাখা ২৫ জন মহিলাকে ‘শানডুলান আত্মসম্মান নারী’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।
আধ্যাত্মিক শক্তির গুরুত্ব:
চান্দুলান প্রকল্পের প্রধান সাধ্বী দীপিকা ভারতী বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, নারীর অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সহিংসতা এবং অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষাগত, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক উন্নয়নও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারী শক্তির ঐতিহাসিক উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন যে আধ্যাত্মিক শক্তিই নারীদের অনন্য করে তোলে।
সাধ্বী দীপিকা ভারতী বলেন, যে দিব্য গুরু আশুতোষ মহারাজ জি বৈদিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করেছেন এবং ব্রাক্ষণ্য জ্ঞানের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মহিলাকে ক্ষমতায়িত করেছেন। প্রতিষ্ঠানের ৬ হাজারেরও বেশি সাধ্বী নারীদের সম্মান ও মর্যাদা পুনরুদ্ধারের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে, এই বার্তাটি পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল যে নারীরা কেবল শক্তির প্রতীক নন, বরং স্বর্ণযুগের ভিত্তি। এই অনুষ্ঠানটি নারীদের আত্মবিশ্বাসকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং তাদের অসীম সম্ভাবনা উপলব্ধি করেছিল।