ভারতের করা ডিজিট্যাল স্ট্রাইকের পরেই দিশা হারিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। তা নিয়ে গরম গরম প্রতিক্রিয়াও দিয়েছে বেজিং। এবার চিনকে শিক্ষা দিতে আরও এক পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার। মোদী সরকার নিষিদ্ধ করল চিন থেকে রঙিন টিভি সেটের আমদানি।
চিন থেকে এদেশে বিপুল পরিমাণে রঙিন টিভি আমদানি করা হয়। কিন্তু সেই আমদানির উপরেই এবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ভারত সরকার। স্বাভাবিক ভাবেই দিল্লির এই সিদ্ধান্তে বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে চিন।
আরও পড়ুন: খরস্রোতা নদীতে পা পিছলে পড়ে গেলেন বিধায়ক, তারপর কী হল জানেত দেখুন রোমহর্ষক সেই ভিডিও
বিদেশ বাণিজ্য মহানির্দেশালয় একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, "রঙিন টিভি আমদানির নীতিতে সংশোধন করা হয়েছে। রঙিন টিভির আমদানি নীতি মুক্ত থেকে হটিয়ে নিষিদ্ধ শ্রেণীতে আনা হয়েছে।” আর কোন দ্রব্যকে নিষিদ্ধ শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করার অর্থই হল, সেই সামগ্রী আমদানি করার জন্য ব্যবসায়ীকে বাণিজ্য মন্ত্রালয়ের অধীনে থাকা বিদেশ বাণিজ্য মহানির্দেশালয় থেকে আমদানি লাইসেন্স নিতে হবে।
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে 'আত্মনির্ভর ভারত' গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রঙিন টিভি আমদানি বন্ধ সেই লক্ষ্যে সরকারের আরও একটা বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। মোদী সরকার ঘরোয়া উৎপাদনে উৎসাহ যোগানোর জন্যে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ভারতে রঙিন টিভি রপ্তানি করা দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চিন। ২০১৮-১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী ৫৩৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের টিভি চিন থেকে আমদানি করেছিল ভারত ৷ তারপরে রয়েছে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, হংকং, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড আর জার্মানির মতো দেশগুলি।
বেজিংয়ের সাথে সীমান্ত বিবাদের আবহে চিনের সংস্থাগুলিকে বয়কটের পথেই এগোচ্ছে ভারত সরকার। একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও রাজ্যসরকার চিনা সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ইতিমধ্যে। এমনকি চিচান সংস্থাগুলি ভারতে কোন টেন্ডারে অংশ নিতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই ডেটা সুরক্ষার কারণ দেখিয়ে জুনে ভারত সরকার টিকটক সহ চিনের ৫৯ টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। সম্প্রতি ভারত আবারও চিনের ৪৭ টি অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আরও বেশকয়েকটি চিনা অ্যাপও শীঘ্রই খাড়ার ঘা পড়বে বলে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে ভারতের ডিজিট্যাল স্ট্রাইকে দিশেহারা চিন। এনিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের যুক্তি দেখাচ্ছে বেজিং। এবার ভারত রঙিন টিভি আমদানি নীতিতে সংশোধনী আনায় ফের বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে চিনা সংস্থাগুলি।