দেশ জুড়ে নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনের উদযাপন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে চালু একাধিক প্রকল্প, দেখে নিন এক নজরে

২০১৪-১৯ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদি প্রথমবার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০১৪’র মে মাস পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ে তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।২০১৪ ও ২০১৯ সালের সংসদীয় নির্বাচনে  মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করে। মোদি সরকারের স্লোগান, "সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস"।

Web Desk - ANB | Published : Sep 16, 2022 11:20 AM IST / Updated: Sep 16 2022, 06:35 PM IST

আট বছর পূর্তিতে দেশ জুড়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। যার মধ্যে দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির ছবিও বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরেছে বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে আট বছরে জিএসটি সংগ্রহ হয়েছে সর্বাধিক, রফতানিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। দেশ জুড়ে একের পর এক স্টার্ট আপ অর্থাৎ নতুন সংস্থা তৈরির প্রবণতা বেড়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। ৪৫ শতাংশ স্টার্ট আপের ক্ষেত্রে মহিলা ডিরেক্টর রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগও বৃদ্ধি পেয়েছে। এবিষয়ে যাবতীয় তথ্যদিয়ে টুইটও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, বিপুল সংস্কার হয়েছে দেশের অর্থনীতিতে।

২০১৪-১৯ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদি প্রথমবার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০১৪’র মে মাস পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ে তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।২০১৪ ও ২০১৯ সালের সংসদীয় নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করে। মোদি সরকারের স্লোগান, "সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস"।

আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক মোদি সরকারের কিছু প্রকল্প - 

জনধন যোজনা: প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার সূচনা করেন। এখনও পর্যন্ত ৩৫ কোটিরও বেশি জনধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। জনধন যোজনার আওতায় খোলা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি কেবল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে না, একই সঙ্গে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার বাইরে থাকা মানুষকেও ব্যাঙ্ক পরিষেবার আওতায় নিয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।

শ্রমযোগী মানধন: অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ৪২ কোটিরও বেশি মানুষ প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনার আওতায় পেনশনের সুবিধা পাচ্ছেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই ব্যবসায়ীদের জন্যও অনুরূপ পেনশন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়।

আয়ুষ্মান ভারত: আজ ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মসূচি আয়ুষ্মান ভারত রূপায়ণ করা হচ্ছে। ৫০ কোটি দরিদ্র ও নব্যমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষকে কর্মসূচির আওতায় নিয়ে এসে সুলভে গুণগত মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতেই এই কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে। 

উজ্জ্বলা যোজনা: দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ পৌঁছে দিতে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার সূচনা হয়। এই কর্মসূচি ধোঁয়ামুক্ত রান্নাঘর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এর ফলে, ৭ কোটি সুফলভোগী, যাঁদের বেশিরভাগই মহিলা, তাঁরা বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছেন।

বৈদ্যুতিকীকরণ: স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে যে ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না, সেগুলির বৈদ্যুতিকীকরণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা: সব ভারতীয়র জন্য গৃহের সংস্থান সুনিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, তার বাস্তবায়নে ২০১৪-১৯ পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে সকলের জন্য আবাসনের লক্ষ্য পূরণে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে।

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি:ভারতকে আন্তর্জাতিক স্তরে এক অগ্রণী উৎপাদক দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির সূচনা করেছেন। এই কর্মসূচি চালু হওয়ার ফলে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। উদাহরণ-স্বরূপ বলা যায়, ভারতে মোবাইল ফোন উৎপাদন ইউনিটের সংখ্যা ২০১৪’র ২ থেকে বেড়ে ২০১৯ – এ ১২২ হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও ভারতে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সূচকে ভারত ২০১৪’র ১৪২তম স্থান থেকে ২০১৯ – এ ৭৭তম স্থানে উঠে এসেছে।

এক দেশ, এক কর’ ব্যবস্থা: ২০১৭ সালে সংসদের এক ঐতিহাসিক অধিবেশনে সরকার জিএসটি চালু করে। এই কর ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে ‘এক দেশ, এক কর’ ব্যবস্থা গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে।

দূষণমুক্ত ও সবুজায়িত বিশ্ব গড়ার ভাবনা: গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শ্রী মোদী জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যাগুলির উদ্ভাবনী সমাধানের লক্ষ্যে পৃথক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দপ্তর গঠন করেন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যাগুলির প্রতি শ্রী মোদী কতটা সংবেদনশীল, তার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটেছে প্যারিসে ২০১৫’তে আয়োজিত সিওপি-২১ শীর্ষ সম্মেলনে। এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী উচ্চ-পর্যায়ের আলাপ-আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।রাষ্ট্রসংঘ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ‘চ্যাম্পিয়নস্ অফ দ্য আর্থ অ্যাওয়ার্ড’ সম্মানে ভূষিত করে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়ে ভারত ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

সৌরজোটের জন্য ভূমিকা: ২০১৮ সালে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানরা আন্তর্জাতিক সৌরজোটের সূচনার জন্য ভারতে এসেছিলেন। এই উদ্যোগ এক উজ্জ্বল বিশ্বের জন্য সৌরশক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

প্রশাসনিক সংস্কার: প্রশাসনিক সংস্কারমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে শ্রী মোদী সর্বদাই নাগরিকদের ন্যায়-বিচারে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন। এই লক্ষ্যে তিনি গুজরাটে সাধারণ মানুষের সমস্যা মেটাতে সান্ধ্যকালীন আদালত চালু করেন। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর তিনি অতিসক্রিয় প্রশাসন ও সময়ানুগ রূপায়ণ সংক্রান্ত ‘প্রগতি’ পর্যালোচনার ব্যবস্থা শুরু করেন। উদ্দেশ্য ছিল, অগ্রগতি থমকে যাওয়া প্রকল্পগুলির রূপায়ণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।

এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত: ভারতে গড়ে উঠেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি ‘দ্য স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’। মূর্তিটি সর্দার প্যাটেলের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন। এই মূর্তি নির্মাণে কৃষকদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম-সহ দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মাটি ব্যবহার করা হয়। এই কর্মযজ্ঞই  এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের ভাবনাকে প্রতিফলিত করে।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওপর মারাত্মক হামলা, গাড়ির কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের পথে মোদী, নজর রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে বৈঠকে

প্রকৌশল শিক্ষাকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি, ইঞ্জিনিয়ারিং দিবসে মোদীর নতুন দিশার ঘোষণা

Read more Articles on
Share this article
click me!