লাদাখ ইস্যুতে উত্তপ্ত হতে পারে সংসদ। তার আগেই সীমান্ত নিয়ে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার তিনি বলেন, গোটা দেশে সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে। আশা করি সংসদও সেনাদের পাশে দাঁড়াবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, দেশের সেনাবাহিনী মাতৃভূমি রক্ষা করার জন্য সংকল্প গ্রহণ করেছে। সাহস আর আবেগ দিয়ে ভূখণ্ড রক্ষার করার জন্য সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে। অতি উচ্চতায় দাঁড়িয়ে মোতায়েন রয়েছে তাঁরা। শত্রুপক্ষের পাশাপাশি প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করছে। ভারতের সেনা বাহিনী এমন জায়গায় রয়েছে সেখানে আর কিছুদিন পর থেকে বরফ পড়তে শুরু করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশা প্রকাশ করেছে সংসদের অধিবেশনে সেনাদের কাজের প্রতি সন্মান জানাবেন সাংসদরা।
লাদাখে চিনা সেনা অনুপ্রবেশ করেছিল। এই অভিযোগ তুলে গালওয়ান সংঘর্ষের আগে থেকেই সরব হয়েছিল কংগ্রেস। যার প্রথম সারিতে ছিলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্সের ওয়াইনাডের সাংসদ প্রায় নিত্যদিনই চিন ইস্যুতে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে গিয়েছেন সরকারের ঘরে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খোলেনি সরকার। প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সকলেই নাম না করে চিনের সমালোচনা করেছেন। ইতিমধ্যেই যা হাতিয়ার করেছে কংগ্রেসসহ বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী বারবারই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী কেন চিনের নাম উচ্চারণ করছেন না। বাধল অধিবেশনেও সরকার পক্ষকে কোনঠাসা করতে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা পূর্বা লাদাখ সীমান্তের কথা উত্থাপন করবেন। আর সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার আগে থেকেই ভারতীয় সেনাদের রাজনৈতিক ঢাল করতে চাইছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
রাহুল গান্ধীর অনুপস্থিতিতেই কী লাদাখ ইস্যুতে বিবৃতি দেবে কেন্দ্র, বাদল অধিবেশন ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
মার্কিন নির্বাচনেও 'মোদী হাওয়া', ট্রাম্পর প্রচারে হাতিয়ার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা বাক্য
একটি সূত্রের খবর সরকার সম্ভবত ভারত চিন অবস্থান সম্পর্কে সংসদে একটি বিবৃতি দিতে পারে। কারণ গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরকারের বিবৃতি দাবি করেছিল বিরোধী শিবির। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন বিরোধী দলগুলি জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই করোনাভাইরাস, দেশের বর্তমান অর্থনীতি আর চিন উস্যু সংসদের উত্থাপন করবে। আর সেসব প্রশ্ন শুনে তার যাথাযথ উত্তর দেওয়াই সরকার পক্ষের কাজ।