এবার এই পরীক্ষায় পুরো নম্বর, অর্থাৎ, ৭২০ নম্বর পেয়েছেন মোট ৬৭ জন। এর মধ্যে ৬ জন পরীক্ষার্থীই আবার হরিয়ানার ফরিদাবাদের একই পরীক্ষাকেন্দ্রের পরীক্ষার্থী। এরপরই দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে এনইইটির প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দীর্ঘদিন ধরে শিরোনামে রয়েছে নিট পরীক্ষা। সেই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। চলতি বছরের NEET পরীক্ষা নিয়ে শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলাকারীদের অভিযোগ, এবারের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগও আনা হয়েছিল।
এই পরীক্ষা পরিচালনা করে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ (NTA)। এনটিএ-র বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির সব অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, ৪,৫০০ পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে কয়েকটিতে কিছু সমস্যা হয়েছিল, কিন্তু সামগ্রিকভাবে নিট পরীক্ষা সন্তোষজনকভাবে হয়েছে। অথচ, নিট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়া নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে।
এবার এই পরীক্ষায় পুরো নম্বর, অর্থাৎ, ৭২০ নম্বর পেয়েছেন মোট ৬৭ জন। এর মধ্যে ৬ জন পরীক্ষার্থীই আবার হরিয়ানার ফরিদাবাদের একই পরীক্ষাকেন্দ্রের পরীক্ষার্থী। এরপরই দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে এনইইটির প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়া নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। এবার খোঁজ মিলল বিহারের এক প্রশ্ন ফাঁস চক্রের। যে চক্রের মূল হোতা এক চিকিৎসক ও তাঁর বাবা। এই বাবা-ছেলের জুটি এর আগে অন্য প্রবেশিকা পরীক্ষারও প্রশ্ন ফাঁসে অভিযুক্ত বলে জানা গিয়েছে।
গত ৫ মে ছিল নিট পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ঝাড়খন্ড থেকে এক গোপন সূত্রে প্রশ্ন ফাঁসের চক্রটি সম্পর্কে খবর পেয়েছিল পাটনা পুলিশ। জানানো হয়েছিল একটি সাদা রেনল্ট ডাস্টার গাড়িতে ওই চক্রের সদস্যরা রয়েছে। পুলিশ ওই গাড়িটিকে ধাওয়া করে আটকেছিল। গাড়িটিতে ওই চক্রের কয়েকজন সদস্যর সঙ্গে চারজন নিট পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড ছিল।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এই চক্রের অন্যান্য সদস্যর সন্ধান পেয়েছিল। তাদের কাছ থেকে প্রশ্ন পাওয়া এক ছাত্রকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, নিট পরীক্ষার আগের রাতে প্রায় ৩৫ জন পরীক্ষার্থীকে পটনার খেমনিচক এলাকায় লার্ন বয়েজ হোস্টেল এবং লার্ন প্লে স্কুল নামে একটি প্লে স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল নিট পরীক্ষার প্রশ্ন এবং সেই সব প্রশ্নের উত্তর। উত্তরগুলি তাদের মুখস্ত করে নিতে বলা হয়েছিল।
প্রশ্ন ফাঁস করার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত। এইভাবে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছে তারা। এর পিছনে একটি সংগঠিত চক্র থাকায়, এই মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে বিহার পুলিশের বিশেষ অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা বা ইওইউ-কে (EOU)।
বিহার পুলিশের মতে, এখনও অবধি তাদের হাতে যে তথ্য প্রমাণ এসেছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। সমস্যা হয়েছে, বিহার পুলিশের অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিতে চাইছে না এনটিএ। এনটিএ এখনও দৃঢ়ভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি অস্বীকার করছে। বিহার পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর কেরিয়ার ঝুঁকির মুখে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।