করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিনের জন্য প্রস্তুতি হচ্ছে গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন স্টেন। যারমধ্যে এন৫০১ওয়াই (N501Y)সনাক্ত হয়েছে ব্রিটেনে। যা অত্যান্ত দ্রুততার সঙ্গে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা। সেইজাতীয় সমস্ত নতুন স্টেনগুলি পরীক্ষা করতে সক্ষম ফেলুদা। তেমনই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
কোভিড ১৯ রোগী এবং সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে সংগৃহীত নমুনায় উপস্থিত ভাইরাসটির জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন করোনাভাইরাসের রূপটি সনাক্ত করা হয়েছে। এটি পরীক্ষা করতে প্রায় দু-দিন সময় বা ৩৬-৪৮ ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু ভারতীয় বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই করোনাভাইরাসের এই রূপগুলি সনান্ত করা সম্ভব। বৈজ্ঞানিক শিল্প ও গবেষণা কাউন্সিল বা CSIR (সিএসআইআর)-এর একটি দল তৈরি করেছে। এঁরাই তৈরি করেছিল ফেলুদা পরীক্ষা পদ্ধতি। যা মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা। সেই বৈজ্ঞানিকদের দলটি আরও একটি পরীক্ষা পদ্ধতি তৈরি করেছে। যেটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চিহ্নিত করবে করোনাভাইরাসের নতুন রূপগুলিকে। বাঙালি চলচ্চিত্রকাল সত্যজিৎ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে নতুন পরীক্ষা পদ্ধতির নাম দেওয়া হয়েছে 'রায়' বা RAY।
ফেলুদার মতই রায় একটি কাগজ স্ট্রিপ ভিত্তিক পরীক্ষা পদ্ধতি। যা ক্যাস-৯ নামেও একটি প্রোটিনের ওপর নির্ভর করে। এটি ভেরিয়েন্টের ভাইরাল জিনোমের একটি নির্দিষ্ট অংশকে সনাক্ত করতে ও নির্দেশ দিয়ে সক্ষম। কোনও অমিলের ক্ষেত্রে এটি ভাইরাল জিনোমের সঙ্গে আবদ্ধ হয় না । তবে এটিকে নেতিবাচক ফলাফল করে। রায় পরীক্ষার আর একটি সুবিধে হল এটি যদি প্রয়োজন হয় তবে সার্স কোভ২ এক ভবিষ্যতের কোনও রূপটি সনাক্ত করতে এটি সংশোধন করা যেতে পারে। সমস্ত ভাইরাস ঘন ঘন পরিবর্তিত হয়। বিজ্ঞানীরা আশা করেন যে ভবিষ্যতে করোনার জীবাণুও এই প্যাটার্নটি অনুসরণ করবে।
কৃষকদের নিয়ে টুইট করা রিহানা ঠিক কতটা সম্পত্তির মালিক জানেন, জেনে নিন তাঁর Lifestyle ...
পিসির পর নিশানা ৪ বছরের ভাইঝিকে, জেল থেকেই ছাড়া পেয়েই ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ...
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে গবেষকরা দাবি করেছেন, তাঁদের নকশার নীতিটি দ্রুত রূপান্তরকরণের জন্য করোনাভাইরাস ছাড়াও রোগ নজরদারী করার জন্য সিআরআইএসপিআর ডায়াগনস্টিকস-এর দ্রুত অপ্টিমাইজেশন ও রোলআউটের সুবিধেগুলি তুলে ধরে দ্রুত রূপান্তরিত হতে পারে। সিএসআইআর টিমের দাবি জিনোম সিকোয়েন্সিং কৌশলটি করোনাভাইরাসটির নতুন রূপটি সঠিকভাবে সনাক্ত করার জন্য উচ্চ ভাইরাল লোডের প্রয়োজন।