কেরলের সোনা পাচার মামলা, দুদিন পর প্রতিবেশি রাজ্য থেকে গ্রেফতার দুই মূল অভিযুক্ত

দূতাবাসের কূটনৈতিক নিরাপত্তা ব্যবহার করে সোনা পাচার

৩০ কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছিল বিমান বন্দর থেকে

রবিবার গ্রেফতার হল এই মামলার মূল দুই অভিযুক্ত

দুজনেই আরব আমিরশাহি দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মী

 

amartya lahiri | Published : Jul 12, 2020 7:23 AM IST / Updated: Jul 12 2020, 01:00 PM IST

 

রবিবার সকালে কেরলের সোনা পাচার মামলার মূল দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। এদিন কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু থেকে স্বপ্না সুরেশ এবং সন্দীপ নায়ার-কে কেরলের এই সাড়া জাগানো মামলার দুই প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে হেফাজতে নেয় এনআইএ। অন্যদিকে কেরল-এর মলপ্পুরম থেকে এই মামলার সঙ্গে জড়িত আরও এক সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নিয়েছে শূল্ক বিভাগ।

গত ৫ জুলাই তিরুঅনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৪ ক্যারেটের ৩০ কেজি চোরাই সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল শুল্ক বিভাগ, যার দাম প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এনআইএ এবং শুল্ক বিভাগের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই সোনা লুকানো ছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আসা একটি কূটনৈতিক ব্যাগেজে। আর তা পাঠানো হয়েছিল তিরুবনন্তপুরমের সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের উদ্দেশ্যে।

গত শুক্রবারই এনআইএ কেরলের এই সাড়া জাগানো সোনা চোরাচালানের মামলায় বেআইনী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করেছিল। সেই অভিযোগপত্রে সারিত ও ফজিল ফরিদ নামে দুই ব্যক্তির পাশাপাশি নাম ছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মী স্বপ্না সুরেশ, ও সন্দীপ নায়ার-এর। টার্জশিটে তাদের নাম আছে জানার পরই তারা পালিয়েছিল।

এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই পলাতক অভিযুক্ত এরপর প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে পারি দিয়েছিল। গা ঠাকা দিয়েছিল বিটিএম লেআউটের একটি হোটেলে। স্বপ্না সুরেশ হোটেলে তার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছিল। যার সূত্র ধরেই এদিন এনআইএ সন্দীপ নায়ার ও স্বপ্না-কে ধরে ফেলে। তবে চার্জশিটে নাম ওঠার পর, রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে তারা কীভাবে প্রতিবেশি রাজ্যে পৌঁছে গেল, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধী কংগ্রেস বিজেপিও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে এই নিয়ে।

 

Share this article
click me!