দিল্লিতে চাক্কা জ্যাম হবে না, জানালেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত, আটকে পড়াদের নিজেদের কথা বলবে কৃষকরা

  • ৬ ফেব্রুয়ারি তিন ঘণ্টার চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি 
  • দিল্লিতে হবে না চাক্কা জ্যাম জানালেন রাকেশ টিকাইত 
  • অবরোধে আটকে পড়াদের খাবার আর জল দেওয়া হবে 
  • বিদেশী সমর্থন নিয়েও বার্চা দিলেন রাকেশ  
     

Asianet News Bangla | Published : Feb 4, 2021 4:48 PM IST

আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে কোনও 'চাক্কা জ্যাম' কর্মসূচি পালন করা হবে না। গাজিপুর সীমান্তে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন কৃষক আন্দোলনের অন্যতম মুখ ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের মুখ রাকেশ টিকাইটত । তিনি বলেছেন দিল্লির বাইরে সর্বত্র 'চাক্কা জ্যাম' কর্মসূচি পালন করা হবে। এই কর্মসূচির কারণে আটকে পড়া পথচারী বা যাত্রীদের খাবার ও জল সরবরাহ করা হবে। 


আগামী ৩ ফ্রেব্রুয়ারি তিন ঘণ্টা চাক্কা জ্যাম এর ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠন গুলি। তবে এই কর্মসূচি দিল্লিতে পালন করা হবে না। দিল্লির বাইরে সর্বত্র এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানিয়েছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। তিনি বলেন এতে যে সবল মানুষ আটতে থাকবে তাদের খাবার  ও জল দেওয়া হবে। একই সঙ্গে আটকে পড়়া পথচারীদের শোনান হবে তাদের করুণ কাহিনি। সরকার তাদের সঙ্গে কী কী করছে তাও বলা হবে আটকে পড়া পথচারীদের। একই সঙ্গে গাজিপুর সীমানায় দিল্লি পুলিশ যে পেকের দিয়ে রাস্তা অবরুদ্ধ করে রেখেছে সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন সেখানে কৃষকরা ফলস তৈরি করছিল। আর সরকার পেরেক বিছিয়ে রেখছে। একই সঙ্গে রিহানা গ্রেটা থুনবার্গ তাদের আন্দোলনকে সমর্থনের বিষয় জানতে চাইলে সোজা সাপটা উত্তর দেন রাকেশ টিকাইত। তিনি বলেন, কারা কারা আন্দোলন সমর্থন করছেন তা তিনি জানেন না। তাঁদের চেনেন না। তবে তাঁদের আন্দোলনে সমর্থন জানালে কোনও ক্ষতি নেই। কারণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কোনও রকম প্রত্যাশা ছাড়াই তাঁদের আন্দোলন সমর্থন করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

রিহানা কি মুসলিম না পাকিস্তানি, কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর পরই পপস্টারের জাতি দেশ নিয়ে প্রশ্ন ...

লালকেল্লার হিংসার সঙ্গে ক্যাপিটাল হিলের তুলনা, কৃষক ইস্যুতে আমেরিকাকে বার্তা বিদেশ মন্ত্রকের ...
তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লির উপকণ্ঠে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। গত ২৬ জানুয়ারি সধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে কৃষকরা ট্র্যাক্টর ব়্যালির আয়োজন করেছিল। সেই মিছিল থেকেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তারপরই আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন কৃষকরা। অনেক আন্দোলনকারী হিংসাকে সমর্থন না করে রাতের অন্ধকারেই ঘরমুখো হন। কিন্তু মধ্যরাতে কৃষকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। তাঁর কান্নার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। আর সেই কান্নাই আবার কৃষক আন্দোলনে প্রাণ ফিরিয়ে আনে। গাজিপুর, টিকরি, সিংহু বর্ডারে বাড়তে থাকে আন্দোলনকারীদের ভিড়। কিন্তু তারপরই আন্দোলনকারীদের রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। চার স্তরীয় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেটও। 
 

Share this article
click me!