নয়ডা টুইন টাওয়ারের ধ্বংসলীলা ১০০ মিটার দূর থেকে দেখেছিলেন ৭ জন, শুরু হয়েছে মেগা-সাফাই অভিযান

নয়ডার টুইন টাওয়ার ধ্বংসলীলা খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই বিস্ফোরক দলের অংশ ছিলেন। তাঁরা হলেন, এসডিফিস ইঞ্জিনিয়ার চেতন দত্ত। তিনি বিস্ফোরক ঘটিয়েছিল।

রবিবার নয়ডার রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার সুপারটেকের টুইন টাওটার এখন অতীত। রবিবার ভর দুপুরে মাত্র ৯ সেকেন্ডের মধ্যে গুঁড়িয়ে যায় আকাশ ছোঁয়া এই বিশাল অট্টালিকা। এই নির্মাণ ধ্বংস করার মধ্যে টুইন টাওয়া সংলগ্ন প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছিল। যেখানে জনমানুষ প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সারমেয় আর বিড়ালদেরও। কিন্তু এই ধ্বংসলীলা খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন মাত্র ৭ জন। বলা যেতে তাঁরা খুব কাছ থেকে এই ধ্বংস দেখেছিলেন। 


যারা নয়ডার টুইন টাওয়ার ধ্বংসলীলা খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই বিস্ফোরক দলের অংশ ছিলেন। তাঁরা হলেন, এসডিফিস ইঞ্জিনিয়ার চেতন দত্ত। তিনি বিস্ফোরক ঘটিয়েছিল। প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ময়ূর মেহতা , পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রাজে এস। বাকিরা হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেমোলিশন বিশেষজ্ঞ জো ব্রিঙ্কম্যান, মার্থিনাস বোথা, কোভিন স্মিট, ইয়ান এহলারে। 

Latest Videos

রবিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে চূড়ান্ত আদেশ দেওয়া হয়েছিল এবং, দুপুর ২.৩০ টার একটু পরে, ডেটোনেটরটি চাপা হয়েছিল এবং টুইন টাওয়ারগুলি পড়েছিল, প্রথমে ধীরে ধীরে কিন্তু তারপরে দ্রুত ক্রমবর্ধমান ধুলো এবং ধ্বংসাবশেষের একটি বিশাল মেঘের মধ্যে আছড়ে পড়ে যা চারপাশের এলাকাগুলিকে ঘিরে ফেলে।  ডেমোলিশন  দলের সাত সদস্য ছিলেন টুইন টাওয়ার থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে। তাঁদের জন্য নিরাপদ একটি গুমটি তৈরি করা হয়েছিল। 

যাইহোক দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ধ্বংস হয়েছে টুইন টাওয়ার। এবার শুরু হয়েছে সাফাই অভিযান। যা মেগা সাফাই অভিযান বললে খুব একটা ভুল হবে না। 

ইতিমধ্যেই সাফাই কর্মীরা কাজ শুরু করেছেন। যাতে বেশি পরিমাণে ধুলো না ওড়ে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, রবিবার সকাল ৭টায় তিনি তাঁর আবাসন খালি করে দিয়েছিলেন। রাত ১১টার পরে বাড়িতে ফেরেন। ডিটোনেটরের তীব্র গন্ধ ছিল। কিন্তু তেমন ধুলো ছিল না। তবে কাপড় দিয়ে টুইন টাওয়ারের আশপাশের আবাসনগুলি মুড়ে দেওয়া হলেও সেখানে কিন্তু প্রবল ধুলো ছিল। তবে তিনি আরও জানিয়েছেন, আজ সকালে এলাকায় কোনও ধুলো দেখতে পাননি।  অনেকেই তাঁকে বলেছিল ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রবল দূষণ ছড়াবে - কিন্তা আদতে তা হয়নি। 

১০০টিরও বেশি জলের ট্যাঙ্ক, আর কর্মীদের জন্য ৬টি যান্ত্রিক সুইপিং মেশিন আনা হয়েছে। ১৫০ সাফাই কর্মী এই দিন একসঙ্গে কাজ করবেন। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের কারণে ৫৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছে। যা সরাতে প্রায় তিন মাস সময় লাগবে।  নয়ডার টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য যে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল তা ৩টি অগ্নি-৫,  ১২টি ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র আর চারটি পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্রের সমান। ব্যবগহার করা হয়েছিল ৩ হাজার কিলো ৭০০ গ্রাম বিস্ফোরক।  ধ্বংসের জন্য খরচ করা হয়েছে ২০ কোটিরও বেশি টাকা।

৫০০ কোটি টাকা ধুলোয় মিশল মাত্র ৯ সেকেন্ডে, নয়ডার টুইন টাওয়ার নিয়ে দিনভর উত্তেজনার ১০টি ছবি দেখুন

ধ্বংস হল নয়ডার টুইন টাওয়ার, বিস্ফোরণের বোতাম টিপেই কেঁদে ফেললেন চেতন দত্ত

বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শত শত গ্রাম- বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা

Share this article
click me!

Latest Videos

Narendra Modi : কুয়েতের সঙ্গে সম্পর্কে জোর ভারতের, দেখুন কী বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
'উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করব', এগরার জনসভায় এসে কাকে বললেন Suvendu Adhikari ?
অনলাইনে পুজোর দেওয়ার নামে প্রতারণা! ঘাড় ধরে নিয়ে গেল পুলিশ | Hooghly News Today
'একটা আস্ত অশিক্ষিত...গোটা রাজ্যটাই জঙ্গিদের হাতে' কড়া বার্তা শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari
লজ্জা মমতার! জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য এই বাংলা!| Suvendu Adhikari #shorts #shortsvideo #suvenduadhikari