পরিবেশরক্ষায় গোটা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে ভারত। শনিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় একথা বলেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে ইথানলের সংমিশ্রণ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টও প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া আগামীদিনে ভারত ইথানলের ব্যবহারের উপর আরও জোর দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭৪ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৫ জুন দিনটিকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগেই এই দিনটির সূচনা হয়েছিল। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে প্রকৃতির কী অবদান রয়েছে তা বোঝাতে এই দিনটি পালন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বনাঞ্চল কেটে তৈরি হচ্ছে বহুতল। সমস্যায় পড়ছে বন্যপ্রাণীরা। পৃথিবীকে সুস্থ রাখতে এগুলির কতটা প্রয়োজন তা তুলে ধরা হয় এদিন।
আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ভারত আরও একটা বড় পদক্ষেপ করল। ইথানল সেক্টরের উন্নতির বিস্তারিত পথ নির্দেশিকা আজ প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ আজ থেকে ৭-৮ বছর আগে ইথানল নিয়ে দেশে সেভাবে চর্চাই হত না। কিন্তু ইথানল একবিংশ শতাব্দীর ভারতের অন্যতম অগ্রগণ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।" ইথানলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার সুফল মিলছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে কৃষকরা সবথেকে বেশি উপকৃত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক এবং পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে আজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পেট্রোলের সঙ্গে ইথানলের সংমিশ্রণ ও বায়োগ্যাস সংক্রান্ত আলোচনা হয় সেখানে। এছাড়া এই অনুষ্ঠান থেকেই পুনের তিনটি জায়গায় ই-১০০ বিতরণ স্টেশনের পাইলট প্রোজেক্টের সূচনা করেন মোদী। এই স্টেশনগুলির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইথানল সরবরাহ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "ভারত এমন একটা রাস্তা বেছে নিয়েছে যার মাধ্যমে পরিবেশবিজ্ঞান ও অর্থনীতি একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে। পরিবেশকে রক্ষা করতে গেলে যে উন্নয়নের কাজকে আটকে রাখার প্রয়োজন পড়ে না তা প্রমাণ করে ভারত গোটা বিশ্বের কাছেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।"