তিহার জেলে প্রথম রাতেই অস্থির চিদম্বরম, পেলেন না কোনও বিশেষ সুবিধা

  • তিহার জেলে প্রথম রাতেই অস্থির চিদম্বরম
  • পেলেন না কোনও বিশেষ সুযোগ- সুবিধা
  • সকালে দেওয়া হয়েছে হালকা ব্রেকফাস্ট
  • খেয়েছেন ওষুধও
     

Indrani Mukherjee | Published : Sep 6, 2019 6:46 AM IST

আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় জড়িত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা পি চিদম্বরমকে বৃহস্পতিবার দুই সপ্তাহের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই-এর আদালত। 

প্রসঙ্গত আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ বাড়ার ফলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁকে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিহার জেলে রাখা হবে। গত ২১ অগাস্ট এক নাটকীয় পরিস্থিতির মধ্য়ে দিয়ে গ্রেফতার হওয়ার পর ১৫ দিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এরপর সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বলের তরফে অনুরোধ করা হয়, তাঁকে যেন গৃহবন্দি করে রাখা হয়, কিন্তু যেন তিহার জেলে না পাঠানো হয়। 

যদিও সেই আবেদন যে কার্যত ধোপে টিকল না তার প্রমাণ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের নির্দেশে তাঁকে দিল্লির তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিহার জেলের সাত নম্বর সেলে তাঁকে রাখা হয়। প্রসঙ্গত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলায় সকল অভিযুক্তদেরই এই সেলেই রাখা হয়। 

ফটোসেশনে আলিশান সোফা নয়, মোদী বেছে নিলেন সাধারণ চেয়ার, প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা

ফের আক্রান্ত কাশ্মীরি যুবক, সালোয়ার কামিজ পরিয়ে চলল বেধড়ক মার

দৃষ্টি হারিয়েও ছাত্রদের মনে জ্বালাচ্ছেন শিক্ষার আলো, সত্তরোর্ধ শিক্ষককে সংবর্ধনা দিয়ে সহযোগিতা পুলিশের

৭ বছর ধরে জাঙ্ক ফুডে অভ্যস্ত, সতেরো বছর বয়সেই দৃষ্টি হারাল কিশোর

সূত্রের খবর, জেলে প্রথম রাত বেশ অস্থিরভাবেই কাটিয়েছেন পি চিদম্বরম। রাতের খাবার হাল্কাই দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। খাওয়ার পর ওষুধও খান। সেলের মধ্যেই তাঁকে দেওয়া হয়েছিল কম্বল ও বালিশ। শুক্রবার সকালে ৬টায়ে তাঁকে সেলের মধ্যেই দেওয়া হয় পাউরুটি, পোহা এবং পোরিজ। অর্থমন্ত্রী হিসাবে একদা জেড প্লাস সিকিউরিটি উপভোগ করলেও তিহার জেলে কোনও বিশেষ সুযোগ সুবিধাই তিনি পাবেন না বলে জানা গিয়েছে। তবে তাঁকে তাঁর কারাগারের ঘরের ভেতরে হাঁটার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। 

বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা জেলের মধ্যে ওয়েস্টার্ন টয়লেট ব্যবহার করার দাবি জানালে তাঁর সেই দাবি মেনে নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে তিনি তাঁর চশমা ও ওষুধপত্র সঙ্গে করে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, তাঁকে সেই অনুমতি দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি অন্যান্য বন্দিদের পাশাপাশি সংশোধনাগারে লাইব্রেরি ব্যবহারের অনুমতিও পেয়েছেন তিনি। নির্দিষ্ট সময়ে টিভি দেখা এবং সংবাদপত্র পাওয়ারও সুবিধা পাবেন তিনি। 

Share this article
click me!