গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠকে চাপা দিতে দেব না, জাপান যাওয়ার আগে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর

মোদী সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আমরা আমাদের রাজনৈতিক , কৌশলগত, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থে একটি ক্রমবর্ধমান অভিসার দেখতে পাচ্ছি।' স্বার্থ সত্ত্বেও হিরোশিমাতে এখনও সংঘর্ষের সম্ভাব্য পয়েন্টগুলি রয়েছে।

 

Web Desk - ANB | Published : May 19, 2023 12:51 PM IST

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিরোসিমা গ্রুপ সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে গ্লোবাল সাউথ দেশগুলির কণ্ঠস্বর এবং উদ্বেগকে প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কারণ তিনি বৃহত্তর G-20 গ্রুপের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করার চেষ্টা করছে। তিনি এই বছর G-20 সম্মেলনেপ হোস্ট।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জাপান সফরের আগেই নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিক্কেই এশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। সেই সময়ই তিনি বলেন, শক্তি, ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের মতো ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাপী পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি তৈরি। 'আমি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসাবে ভারতের ভূমিকার উপর জোর দেব,' তিনি বলেন,ভারতের অভিজ্ঞতা তিনি তাঁর বৈঠকে তুলে ধরবেন।

ভারত G-7 সদস্য নয়, কিন্তু জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি গ্লোবাল সাউথ বা উন্নয়নশীল বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য বরাবরই দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করেছেন। মোদী বলেছেন, জাপন ও ভারতের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের যৌথ মূল্যবোধ স্বাভাবিকভাবেই দুটি দেশকে কাছাকাছি এনেছে।

মোদী সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আমরা আমাদের রাজনৈতিক , কৌশলগত, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থে একটি ক্রমবর্ধমান অভিসার দেখতে পাচ্ছি।' স্বার্থ সত্ত্বেও হিরোশিমাতে এখনও সংঘর্ষের সম্ভাব্য পয়েন্টগুলি রয়েছে। ভারত সুস্পষ্টভাবে ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘদিন সামরিক অংশীদার রাশিয়ার নিন্দা করেনি। G-7এ গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করার জন্য ফোকাস করা হবে। লক্ষ্য মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা। যদিও মোদী বারবার শান্তির আবেদন জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তিনি বলেছিলেন, আজকের যুগ যুদ্ধের নয়, ভারত রাশিয়ার সঙ্গে দ্রুত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ইউক্রেন সংঘাতে তাঁর দেশের অবস্থান স্পষ্ট আর অটল। মোদী বলেন, ভারত শান্তির পাশে দাঁড়িয়েছে, এবং দৃঢ়তার সাথে দাঁড়াবে। আমরা তাদের সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যারা তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের ক্রমবর্ধমান মূল্যের কারণে।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানের সমরকন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দেখা করেছেন। তিনি পুতিনকে বলেছিলেন যে "আজকের যুগ যুদ্ধের যুগ নয়।"

জি-৭ দেশগুলি ভারতকে পাশে পেতে মরিয়া চেষ্টা করছে। কিন্তু ভারত বরাবরই সহজ ভূ-রাজনৈতিক শ্রেণীকরণে অস্বীকার করছে। ভারত বর্তমানে র্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার সাথে চতুর্ভুজ নিরাপত্তা সংলাপ বা কোয়াডের সদস্য। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত বর্তমানে হিরোশিমাতে নিজস্ব শীর্ষ বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছে। অন্যদিকে আগামী মাসে মোদীর মার্কিন সফরের কথা রয়েছে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে কথা হতে পারে।

মোদী বলেন ভারত নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে এই দেশ সালে দশম বৃহত্তম অর্থনীতি থেকে এখন বিশ্বব্যাপী পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে উঠে এসেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকারের মূল লক্ষ্যই হল স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপনের জন্য আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ভারতকে একটি শক্তিশালী আর উন্নত দেশে রূপান্তরিত করা।

আরও পড়ুনঃ

সিবিআই-এর সমন অভিষেককে , নিজাম প্যালেসে ১১টায় হাজিরা দিতে নির্দেশ

Monsoon Update: বর্ষার আগমণ বার্তা সাগরে, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছে মৌসুমী বায়ু

বিক্রি হয়ে গেল গুগলের CEO সুন্দরলাল পিচাইয়ের বাড়ি, আবেগে ভেঙে পড়লেন তাঁর বাবা রঘুনাথ পিচাই

 

Read more Articles on
Share this article
click me!