প্রতি বছর ৩১ শে অক্টোবর সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী পালিত হয় " রাষ্ট্রীয় একতা দিবস হিসাবে ". ২০১৪ সাল থেকেই মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে দিনটি । এবারেও ব্যাতিক্রম হবে না তার ।
প্রতি বছর ৩১ শে অক্টোবর সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী পালিত হয় " রাষ্ট্রীয় একতা দিবস হিসাবে " . প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তত্বাবধানে " এক ভারত , শ্রেষ্ঠ ভারত" গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদযাপন করা হয় এই দিনটি। ২০১৪ সাল অর্থাৎ মোদির মসনদ দখলের বছরটি থেকেই মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে প্যাটেলের জন্মদিনটি। বিগত আট বছরে এর গ্রহণযোগ্যতা আরও ব্যাপকতা পেয়েছে।আর এখন তো স্বাধীনতা দিবস এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের মতোই জাতীয় উদযাপনে স্থান করে নিয়েছে দিনটি। প্রধানমন্ত্রী দ্বারা এই উৎসবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর এই উৎসব অন্য মাত্রা পেয়েছে ভারতবর্ষে।
২০১৮ সালে ঠিক এই দিনটিতেই প্রধানমন্ত্রী প্রথম উন্মোচন করেছিলেন স্ট্যাচু অফ ইউনিটি নামাঙ্কিত সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তিটি। সেইদিনই তিনি অফিসিয়ালি ওই মূর্তি জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। প্রতিবছর ওই মূর্তির সামনেই উদযাপন হয় রাষ্ট্রীয় একতা দিবস। এবছরও অন্যথা হবে না তার। তবে সূত্রের খবর এবছর প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং অংশ নেবেন এই উদযাপনে।
উদযাপনের জন্য থাকছে কুচকাওয়াজের আয়োজন। বিএসএফ ও পাঁচ রাজ্যের পুলিশকে নিয়ে হবে প্যারেড। পুলিশের পাঁচ রাজ্যের প্রতিটি জোন থেকেই একজন করে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে এই প্যারেডের। এছাড়া এবারের কুচকাওয়াজের বিশেষ আকর্ষণ আম্বাজির আদিবাসী শিশুদের মিউজিক্যাল ব্যান্ডের পরিবেশনা।জানা গেছে এই ব্যান্ডের সদস্যরা একসময় সবাই আম্বাজি মন্দিরে ভিক্ষা করতেন। প্রধানমন্ত্রী এর আগেও ওই শিশুদের উৎসাহ দিয়েছিলেন। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী আম্বাজীর মন্দির সফরে এলে দলই তার সামনে পরিবেশন করেছিল নাটক। তবে আগামী ৩১শে অক্টোবরের এই আয়োজন দেশ জুড়ে " রান ফর ইউনিটি " আনবে এমনই ধারণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
দ্য স্ট্যাচু অফ ইউনিটি হল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি। যার উচ্চতা ১৮২ মিটার বা ৫৯৭ ফুট। ভারতের লৌহ মানব সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার উদ্দেশ্যে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এই মূর্তি স্থাপন করা হয় ২০১৮ সালে । সর্দার প্যাটেল কোথাও ভারতের ইতিহাসে হারিয়ে যাওয়া একটা অধ্যায় । ভারতীয় রাজনীতিতে তার অবদান অনস্বীকার্য হলেও তিনি কোথাও মুছে গেছেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস থেকে। অথচ এই মানুষটিই ছিলেন একসময় স্বাধীন ভারতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । মহাত্মা গান্ধীর এই অনুরাগী একসময় ভারতে প্রথম ইউনিয়ন গঠনের জন্য ভারতের ৫৬২ টি রাজ্যকে একত্রিত করার প্রচেষ্টা করেছিলেন। গুজরাটের ভাডোদারা শহরের ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ -পূর্বে সরোবর বাঁধের মুখোমুখি নর্মদা তীরের উপর স্থাপন করা হয় তার এই বিরাট মূর্তি। নরেন্দ্র মোদী কর্তৃক ২০১০ সালেই এটি নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে লারসেন অ্যান্ড টুব্রো কোম্পানি কর্তৃক শুরু হয় এর নির্মাণ কার্য। ২৭ বিলিয়ন বা ৪২২ মিলিয়ন ভারতীয় মুদ্রা খরচ করে করা হয় এই মূর্তি নির্মাণ। অবশেষে ২০১৮ সালের ৩১ সে অক্টোবর প্যাটেলের ১৪৩ তম জন্মবার্ষিকীতে উদবচন করা হয় এই মূর্তির।