জলবায়ু পরিবর্তন ও অপুষ্টি- এই দুটো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে ভারত। সেই জন্য কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কতগুলি বিশেষ বৈশিষ্ঠ্যের ফলস তৈরি করেছে। ২০২১ সালে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা ও উচ্চতর পুষ্ঠির সামগ্রী মত বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত ৩৫টি ফলস তৈরি করা হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) ২৮ সেপ্টেম্বর বিশেষ বৈশিষ্ঠ্যের ৩৫টি শস্য (35 crop varieties ) দেশবাসীকে উৎসর্গ করবেন। জলবায়ু পরিবর্তন (Climate Change) প্রতিরোধী প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকরা। প্রধানমন্ত্রী আইসিএআর ( ICAR) ইনস্টিটিউট আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ৩৫ ফসল তুলে দেবেন দেশবাসীর হাতে।
বিশেষ বৈশিষ্ট্যের ফসলঃ
জলবায়ু পরিবর্তন ও অপুষ্টি- এই দুটো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে ভারত। সেই জন্য কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কতগুলি বিশেষ বৈশিষ্ঠ্যের ফলস তৈরি করেছে। ২০২১ সালে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা ও উচ্চতর পুষ্ঠির সামগ্রী মত বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত ৩৫টি ফলস তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে খরা সহ্য করতে পারে ছোলা, উইল্ট, জীবাণুমুক্ত পুষ্টিবর্ধক অড়হর ডাল, সয়াবিন। গম, বাজরা ভুট্টা, ছোলা কুইনো, শিম চালেরও নানা ধরনের বীজ তৈরি করা হয়েছে, যেগুলি জৈব সুরক্ষিত। বিশেষ বৈশিষ্ট্যের এই ফসলগুলি মানুষ ও পশুর শরীরে বিরুপ কোনও প্রভাব ফেলে না। এগুলি পুষ্ঠি বাড়াতে সাহায্য করে।
Bharat Bandh: ভারত বনধ সফল বলে দাবি কৃষক নেতার, কাশ্মীর থেকে কেরল কেমন ছিল বনধ
Pakistan: পাকিস্তানে বিস্ফোরক দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জিন্নার মূর্তি, জানিয়েছে স্থানীয় আধিকারিক
একই সঙ্গে রাজ্যে ও কেন্দ্রের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গ্রিন ক্যাম্পাস পুরষ্কার বিতরণ করবেন তিনি। পাশাপাশি ন্যাশানাল ইনস্টিটউট অব বায়োটিক স্ট্রেস টলারেন্স রায়পুরে নবনির্মিত ক্যাম্পাসেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী কৃষি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী পদ্ধতির ব্যবহার নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সমাবেশে নিজের মতামতও তুলে ধরবেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী।
জাতীয় বায়োটিক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটঃ
রায়পুরে বয়োটিক স্ট্রেস ম্যানেডমেন্ট ইনস্টিটিউট জৈবিক চাপের মৌলিক ও কৌশলগত গবেষণা করা হয়। মানব সম্পদ বিকাশ ও নীতিহত সাহায্য প্রদান করে। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২০-২১ সাল থেকে স্নাতোকোত্তর কোর্স শুরু করেছে।
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে গ্রিন ক্যাম্পাস পুরষ্কার দেওয়ার মূল কারণ হল ক্যাম্পাসগুলিতে সবুজায়ন বৃদ্ধি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। শিক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ভারত মিশন ও বর্জ্য থেকে সম্পদ মিশনে অনুপ্রাণিত করা। ২০২০ সাল থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।