সকলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বৃহত্তর স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জল জীবন মিশন অ্যাপ লঞ্চ করেছেন তিনি। এছাড়াও, ভিডিও কনফারেন্সে রাষ্ট্রীয় জল জীবন কোশও চালু করা হয়েছে।
গান্ধী জয়ন্তীতে জল জীবন মিশন অ্যাপ (Jal Jeevan Mission App) লঞ্চ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। আজ সকাল ১১ টার সময় ভিডিও কনফারেন্সের (video conferencing) মাধ্যমে দেশের সব গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পানি সমিতি, গ্রাম জল ও স্যানিটেশন কমিটির (VWSC) সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সকলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বৃহত্তর স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জল জীবন মিশন অ্যাপ লঞ্চ করেছেন তিনি। এছাড়াও, ভিডিও কনফারেন্সে রাষ্ট্রীয় জল জীবন কোশও চালু করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মোদী বলেন, "গত ৭ দশকে যে কাজ হয়েছিল, আজকের সরকার মাত্র ২ বছরে তার থেকেও বেশি কাজ করে দেখিয়েছে। সেই দিন আসতেও খুব দেরি নেই যেদিন প্রতিটি ঘরের মা-বোনেদের জল আনার জন্য অনেক দূরে গিয়ে আর জল নিয়ে আসতে হবে না।"
আরও পড়ুন- কৃষকবান্ধব নরেন্দ্র মোদী সরকার, ক্ষেতে রাসায়নিক স্প্রে করতে ড্রোনের সফল ব্যবহার
জল জীবন মিশন অ্যাপের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় জল জীবন কোশও লঞ্চ করেছেন মোদী। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে কোনও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেশন, ভারত বা বিদেশের কোনও সমাজসেবী প্রতিটি গ্রামীণ পরিবার, স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, আশ্রম এবং অন্য জন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জলের কলের সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে অনুদান দিয়ে সাহায্য করতে পারে।
আরও পড়ুন- এবার আধারে নাম নথিভুক্ত ও আপডেট আরও সহজে, নয়া পদক্ষেপ UIDAI-এর
জল জীবন মিশন মোবাইল অ্যাপ লঞ্চ করার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, "জল জীবন মিশনের মূল ভিত্তি হল জনসাধারণের অংশগ্রহণ এবং গণ আন্দোলন। এই উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী এবং স্বচ্ছ করে তুলতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করা হয়েছে।" এই মিশনের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায় মোবাইল অ্যাপটির মধ্যে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে কতগুলি পরিবার জল পাচ্ছে, কী ধরনের জল গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের তথ্যই অ্যাপের মধ্যে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন- কৃষকবান্ধব নরেন্দ্র মোদী সরকার, ক্ষেতে রাসায়নিক স্প্রে করতে ড্রোনের সফল ব্যবহার
২০১৯ সালের ১৫ অগাস্ট এই মিশনের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত প্রত্যেক বাড়িতে পরিষ্কার জল পৌঁছে দেওয়াই ছিল সরকারের লক্ষ্য। এই উদ্যোগ যখন শুরু হয়, তখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাত্র ১৭ শতাংশ পরিবারের জন্য ছিল জলের ট্যাপ। এরপর ট্যাপের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে।
দেশে আজও পানীয় জলের সমস্যা রয়ে গিয়েছে। বিশেষত প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এখনও জলকষ্টে ভোগেন। অনেক গ্রামে এখনও পানীয় জলের জন্য মানুষকে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়। দেশ যখন প্রযুক্তির পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে, তখন এই জলের সমস্যা সরকারের কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের। তাই দ্রুত সেই সমস্যার সমাধান করতেই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে।