রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন আমাদের দেশের অনেক আশা আমাদের মেয়েদের উপর। সঠিক সুযোগ পেলে তারা দারুণ সফলতা অর্জন করতে পারে। ফাইটার-পাইলট থেকে শুরু করে মহাকাশ বিজ্ঞানী, সব ক্ষেত্রেই আমাদের মেয়েরা তাদের জয়ের পতাকা ওড়াচ্ছে।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রবিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি হিসেবে জাতির উদ্দেশে এটাই ছিল তার প্রথম ভাষণ। তিনি বলেন যে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে, আমি দেশে এবং বিদেশে বসবাসরত সমস্ত ভারতীয়দের আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাই। তিনি আরও বলেন, ১৪ই আগস্ট দিনটি দেশভাগ-ভয়ংকর স্মৃতি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। এই স্মৃতি দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য হল সামাজিক সম্প্রীতি, মানবিক ক্ষমতায়ন এবং ঐক্যের প্রচার করা।
তিনি বলেন আমি সমস্ত দেশবাসীর সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনের জন্য আমার শুভেচ্ছা জানাই। আমি ভারতের সশস্ত্র বাহিনী, বিদেশে ভারতীয় মিশন এবং প্রবাসী-ভারতীয়দের অভিনন্দন জানাই যারা তাদের মাতৃভূমিকে গর্বিত করে। আমাদের যা আছে তা মাতৃভূমির দেওয়া। তাই আমাদের দেশের নিরাপত্তা, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য সর্বস্ব সমর্পণের অঙ্গীকার করা উচিত।
রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন আজ, যখন নতুন চ্যালেঞ্জ আমাদের পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছে, তখন আমাদের ভারতের সৌন্দর্যের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত কিছুকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করা উচিত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি আমাদের কর্তব্য জল, মাটি ও জৈবিক বৈচিত্র্য সংরক্ষণ। আমাদের দেশের অনেক আশা আমাদের মেয়েদের উপর। সঠিক সুযোগ পেলে তারা দারুণ সফলতা অর্জন করতে পারে। ফাইটার-পাইলট থেকে শুরু করে মহাকাশ বিজ্ঞানী, সব ক্ষেত্রেই আমাদের মেয়েরা তাদের জয়ের পতাকা ওড়াচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ লালা অমরনাথ স্বাধীন ভারতের প্রথম ক্রিকেট ক্যাপ্টেন, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ছিলেন ভারতের গর্ব
তিনি এদিন বলেন নারীরা অনেক প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তাদের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণ নির্ধারক প্রমাণিত হবে। আজ আমাদের পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত মহিলা প্রতিনিধির সংখ্যা চোদ্দ লক্ষেরও বেশি।
দ্রৌপদী মুর্মু বলেন বর্তমানে দেশে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনীতি এবং এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য ক্ষেত্রে যে ভাল পরিবর্তনগুলি দেখা যাচ্ছে তাতে সুশাসনের উপর বিশেষ জোর দেওয়া একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। আমি দেশের প্রতিটি নাগরিককে তাদের মৌলিক কর্তব্য সম্পর্কে জানতে, অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করছি, যাতে আমাদের জাতি নতুন উচ্চতা স্পর্শ করতে পারে। ভারতে আজ সংবেদনশীলতা ও সহানুভূতির জীবন-মূল্যকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সমাজের বঞ্চিত, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে কাজ করাই এই জীবনমূল্যের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুনঃ স্কুলে স্কুলে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান, রইল অনুষ্ঠান উদযাপনের ১০টি ইউনিক আইডিয়া