অমিত শাহর প্রস্তাব নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক বিক্ষোভকারী কৃষকদের, এখনও অব্যাহত রইল জট

  • রবিবার দীর্ঘ বৈঠক হয় বিক্ষোভকারী কৃষকদের 
  • ৩০টি কৃষি ইউনিয়েনের সদ্যরা আলোচনা করেন 
  • অমিত শাহর আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করেন তাঁরা 
  • শর্ত সাপেক্ষে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী 
     

Asianet News Bangla | Published : Nov 29, 2020 9:59 AM IST

রবিবারও কাটল না কৃষক বিক্ষোভের জট। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনগুলি। শনিবার কৃষকদের সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন কৃষকরা বুরারি গ্রাউন্ডে সরে গিয়ে তাদের কর্মসূচি পালন করলে দিল্লি পুলিশ তাতে অনুমতি দেবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার আগামী তেশরা ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। রবিরার দীর্ঘ আলোচনার পর বিক্ষোভকারী কৃষকদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রস্তাব তারা খারিজ করে দিচ্ছে। কৃষকদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে পূর্ব শর্ত ছাড়াই তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। 

কৃষক বিক্ষোভের মধ্যেই নতুন আইনের পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর, সঙ্গে দিলেন উদাহরণও ..

জম্মুর আকাশে আবারও পাক ড্রোনের হানা, জঙ্গিরা কি চোখ সরিয়ে নিচ্ছে ভূস্বর্গ থেকে ...

রবিবার ৩০ টিরও বেশি কৃষক সংগঠনের একটি যৌথ ফোরাম কৃষক বিক্ষোভ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর শর্ত নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করে। বৈঠকের পর ফোরামের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, কয়েক হাজার কৃষকের প্রতিবাদের জায়গা আর কোনও ইস্যু নয়। কারণ তাঁরা দিল্লির রাস্তায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে। এক কৃষক জানিয়েছেন তাঁরা বুরারি গ্রাউন্ড ও সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। তাঁদের নেতৃত্ব কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তা তাঁরা মেনে নেবেন। অন্যদিকে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের পঞ্জাবের সভাপতি জগজিৎ সিং বলেছেন অমিত শাহ শর্ত আরোপ করে প্রাথমিক বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এটাকে খুব ভালো মনে নেয়নি বিক্ষোভকারী কৃষকরা। গৃহমন্ত্রীর উচিৎ ছিল বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে খোলা মনে আলোচনায় বসা। তিনি আরও বলেন সরকার যদি আলোচনায় বসতে চায় তাহলে তাদের সিন্ধু সীমান্তে আসতে হবে। সরকারের আলোচনায় বসার সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 


নতুনভাবে কার্যকর হওয়ায় তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছেন কৃষকরা। সেই কারণে ২৬ নভেম্বর দিল্লিতে তাঁরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। সেই মত পঞ্জাব ও হরিয়ানা পর্যন্ত লংমার্চ করে জড়ো হয়েছিলেন তাঁরা কিন্তু তারপরেই তাঁদের দিল্লি ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে কৃষকরা পঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমানায় জড়ো হয়েছেন। তবে কৃষকদের একটি দল পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ঢুকে পড়েছে জাতীয় রাজধানীতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেখানে বিক্ষোভের অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। গত চার দিন ধরে একই পরিস্থিতি রয়েছে দিল্লি সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। ট্রাক্টর ও রাস্তায় খোলা আকাশের নিচেই রাত্রি যাপন করতে হচ্ছে দেশের অন্নদাতাদের। 

Share this article
click me!