Ratna Bhander: জগন্নাথ মন্দিরে গুপ্ত সুড়ঙ্গের সন্ধান নেই, রত্নভাণ্ডার থেকে যা উদ্ধার হল তাতে অবাক কর্তৃপক্ষ

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারে এখনও পর্যন্ত কোনও গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে যা উদ্ধার হয়েছে তা দেখে চক্ষু চকড় গাছ হওয়ার জোগাড়।

রত্ন ভাণ্ডারে প্রবেশ করা ১১ জনের প্রতিনিধি দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, রত্ন ভাণ্ডার থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর প্রাচীনকালের অস্ত্র। উদ্ধার হয়েছে তরোয়াল, বর্শা, জ্যাভলিনের মত প্রাচীন অস্ত্র।

এক প্রতিনিধির কথায় ভতরের কক্ষে একটি পুরনো কাঠের বাক্সের মধ্যে রাখা ছিল প্রচুর অস্ত্র। অস্ত্রগুলি খুব ভারি ছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিনের অব্যবহারে সেগুলি কালো হয়ে গেছে।

প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কথায় কাঠের বাক্সের মধ্যে একই সঙ্গে রাখা ভ্যাজলিন, বর্শা আর তরোয়াল। ঐতিহাসিকরা অস্ত্রগুলি ভালো করে পরীক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন।

রত্ন ভাণ্ডারে প্রবেশের তদারক কমিটির চেয়ারম্যান বলেছেন বিশ্বনাথ রথ , তাঁর খুব সাবধানতার সঙ্গে যুদ্ধের নিদর্শনগুলি একটি অস্থায়ী ভল্টে সিল করে সংরক্ষণ করেছেন।

অস্ত্রের পরিমাণ কত- এই নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও বিশ্বনাথ রথ কিন্তু জানানি কিছুই। তিনি জানিয়েছেন, প্রাচীন সামগ্রীর নিরাপত্তার ওপর সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে একটি বড় বাক্সের মধ্যে রাখা ছিল প্রচুর অস্ত্র। তেমনই শোনা যাচ্ছে জগন্নাথ মন্দিরে।

অনুমান করা হচ্ছে ১২ শতকে যখন পুরীর জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হয়েছিল সেই সময়ের অস্ত্র এগুলি। সেই সময়ের রাজ পরিবারের অস্ত্র বলেও মনে করেছেন অনেকে। রত্ন ভাণ্ডারের অলঙ্কারের নিরাপত্তার জন্যই অস্ত্র রাখা হয়েছিল। আচমকা বিপদ এসে দ্রুত যাতে শত্রুপক্ষের মোকাবিলা করা যায় তার জন্যই অস্ত্রের সম্ভার ছিল রত্নভাণ্ডারে।

শ্রীজগন্নাথদেবের মন্দির পূর্ব গঙ্গা রাজবংশের অনন্তবর্মণ চোদাগঙ্গা দেব ১১৯০ সালে তৈরি করেছিলেন। তেমনই তথ্য রয়েছে মন্দির প্রশাসনের হাতে।

মন্দির প্রশাসনের কথায় মন্দিরের উচ্চতা ২১৪ ফুট, ১০.৭ একর এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছিল মন্দির কমপ্লেক্স। এই এলাকায় ছোটবড়ে আরও ৯৫টি মন্দির রয়েছে।।

মন্দির পরিচালক শ্যাম মহাপাত্র জানিয়েছেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে এখনও পর্যন্ত ১৮ বার আক্রমণ ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছিল। মন্দিরের সুরক্ষার জন্য রাজার দেওয়া প্রচুর অস্ত্র রত্নভাণ্ডারের গোপন ডেরায় রেখে দেওয়া হত।