ভারতীয় সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর তাতেই রাতের পর রাত জাগছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ জুড়ে ভারত বিরোধিতা তীব্র হয়েছে। বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্য-সহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে নতুন সন্ত্রাসী স্লিপার সেল খোলার উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। শুধু তাই নয়, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন 'রাজাকার বাহিনী' সরকার আইএসআই-এর পরিকল্পনাকে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।
একের পর এক কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে। আর এই নিয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর তাতেই রাতের পর রাত জাগছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করার নির্দেশের খবর পেয়ে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান সেনা সদর দফতরে অফিসারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে যশোর, কুমিল্লা, জালালাবাদ, রাজশাহী, রংপুর ও সৈয়দ সেনানিবাসে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যদের সব ছুটি বাতিল করে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, ৩৬টি নোরা বি-৫২, ১৫৫ মিমি অটোমেটিক কামান, ৪৯টি ডব্লিউএস-২২ মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম এবং সার্বিয়া থেকে কেনা অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রাশিয়ান মেটিস এম-ওয়ান এবং চিনা পিএফ-৯৮ মিসাইলের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
শুধু সেনাবাহিনী নয়, রাজনাথ সিংয়ের নির্দেশ শুনে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও শনিবার পিলখানায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ফোর্সের সদর দফতরে তড়িঘড়ি হাজির হন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজিবির সকল এরিয়া কমান্ডার, সেক্টর কমান্ডার, ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা সভায় অংশ নেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি কর্মকর্তাদের ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন।
সীমান্তের ওপার থেকে (ভারতীয় ভূমি) একটি গুলি ছোড়া হলে ১০টি গুলি ছোড়া হয়। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী আক্রমণ করলে ন্যূনতম প্রতিরোধেরও সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন না সেনাবাহিনী ও বিজিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তিন প্রাক্তন প্রধান বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী বা প্যারা আর্মির প্রশিক্ষণ ও শারীরিক সক্ষমতার মুখোমুখি হওয়া সম্ভব হবে না। তবে প্রাক্তন সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও ইকবাল করিম ভূইয়ারা মনে করেন, যে বর্তমান ভারত সরকার বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো শত্রু হিসেবে দেখে না।