শুক্রবার ত্রিপুরা সার্কিট হাউসের কাছে মহাত্মাগান্ধী মূর্তির সামনে থেকে থেকে যৌথ আন্দোলন মঞ্চ একটি মানব বন্ধন তৈরি করে। যেখানে ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা জড়ো হয়েছিল।
ত্রিপুরায় শিক্ষক আন্দোলন ক্রশমই জোরাল হচ্ছে। চাকরি পুনর্বগাল করতে হবে- এই দাবি নিয়ে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার মানববন্ধন তৈরি করে। একই দাবিতে অনির্দিষ্টকালের রিলে অনশন চলছে রাজ্যজুড়ে , যা ইতিমধ্যে ৫৫ দিন পার করেছে।
শুক্রবার ত্রিপুরা সার্কিট হাউসের কাছে মহাত্মাগান্ধী মূর্তির সামনে থেকে থেকে যৌথ আন্দোলন মঞ্চ একটি মানব বন্ধন তৈরি করে। যেখানে ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা জড়ো হয়েছিল। তারা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ও তাদের মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে দ্রুত পুনর্বহারের দাবি জানিয়েছে। এই শিক্ষকরা গত ৩৭ মাস ধরে কর্মহীন। অবিলম্বে তাদের দাবি পুরণ করারও আর্জি জানিয়েছ ছাঁটাই হওয়া শিক্ষকরা। তাদের আবেদন যদি মানা না হয় তাহলে তারা দ্রুত মহাক্রান অভিযান অর্থাৎ সচিব দফতর অভিযান করবে বলেও হুমকি দিয়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষক ডালিয়া দাস জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে তাদের আইনি উপদেষ্টাদের সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকে বসার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। কারণ গত ২২ নভেম্বর প্রথম বৈঠকটি হয়েছিল - সেটি ব্যার্থ হয়। কমল দেব নামে অন্য ছাঁটাই হওয়া শিক্ষক জানিয়েছেন, মোট ১৪৬ জন স্কুল শিক্ষক রয়েছে যারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছিল। তাদের নিয়োগ পদ্ধতি অবৈধ ছিল। হাইকোর্টের রায়ে আর সুপ্রিম কোর্টের রায় একই ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। কিন্তু বাকিদেরও কর্মহীন অবস্থায় রাখা হয়েছে। আর সেই কারণে তাদের মত অসংখ্য শিক্ষক রয়েছে, যারা তুমুল আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। আর সেই কারণে কালবিলম্ব না করে দ্রুত যাতে তাদের সমস্যা দেখে হয় তার জন্যই তারা বারবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে যাচ্ছে।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে মার্চ মাসে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ২০১০ সাল থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর-সহ বিভিন্ন পর্যায়ে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষক নিয়োগের তথ্য সামনে আসে। হাইকোর্টে বেআইনিভাবে নিয়োগ করী শিক্ষকদের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। প্রথমে হাইকোর্ট , তারপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শিক্ষকরা। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক কর্মহীন অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
জিতেও স্বস্তি নেই কংগ্রেস শিবিরে, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু
'শ্রদ্ধা বেঁচে থাকত', এমনই আশা করে আফতাবের ফাঁসি চাইলেন মৃতার বাবা - অভিযোগ ডেটিং অ্যাপ নিয়েও