করোনার প্রভাব শেয়ারবাজারেও, চলতি মাসে আরও একবার ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ কেনাবেচা

  • শেয়ার বাজারে ঝিঁমুনি অব্যাহত
  • চলতি মাসে ২ বার সাময়িক বন্ধ কেনাবেচা
  • শেয়ার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ১০ শতাংশ নেমে যায় সূচক
  • করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাবেই শেয়ার বাজারে ধস

Asianet News Bangla | Published : Mar 23, 2020 6:41 AM IST

সপ্তাহের প্রথম দিনেই শেয়ার বাজারে রক্তক্ষরণ। বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে বেঞ্চমার্ক ইকুইটির সূচক নেমে যায় অনেকটাই। প্রায় দশ শতাংশ নিচে নেমে যাওয়ায় ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় কেনাবেচা। চলতি মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য সাময়িক বন্ধ থাকে শেয়ার বাজার। দাদালস্ট্রিটের লগ্নকারীরা জানিয়েছেন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার একমাসে দুবার সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয় কেনাবেচা। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই শেয়ার বাজারে মন্দা দেখা দিয়েছিল। মার্চের শেযেও সেই মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারেনি দাদল স্ট্রিট। 

আরও পড়ুনঃ আজ থেকে লকডাউনে কলকাতা, করোনা মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়, বলছে 'হু'

আরও পড়ুনঃ নিরাপদ দূরত্বেও আর রক্ষে নেই, এখন বাতাসেও ভাসতে শুরু করেছে মারণ করোনা ভাইরাস

আরও পড়ুনঃ গরম ও আর্দ্রতা কোনও কিছুতেই কাবু হবে না কোভিড-১৯, উদ্বেগ বাড়িয়ে জানিয়ে দিল 'হু'

সোমবার সকালে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ২,৯৯১.৮৫ থেকে দশ শতাংশ নেমে ২৬,৯২৪.১১ গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। একই অবস্থা নিফটিরো।৮৪২.৪৫ পয়েন্ট থেকে ৯.৬৩ শতাংশ পড়ে গিয়ে নিফটির সূচক দাঁড়ায় ৭,৯০৩.০০ পয়েন্টে। একপরই পুরো বোর্ড লাল হয়ে যায়। ভরতের প্রথম সারির সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের শেয়ার রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে। এদিন সকাল থেকে রীতিমত ধস নেমেছে দেশের অটোমোবাইল সেক্টরেও। পরিসংখ্যান বলছে ১২ বছর আগে ২০০৮-০৯ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থিক মন্দার সময় দেশের অর্থনীতি যে অবস্থায় দাঁড়িয়েছিল তার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি। 

লগ্নিকারীদের অনুমান করোনারভায়ের সংক্রমণ এই দেশে ক্রমশই ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে। পরিস্থিতি সামল দিয়ে দেশের প্রায় সবকটি রাজ্য লকডাউনের পথেই হেঁটেছে। পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে তা প্রায় অনিশ্চিত। চরম হতাশার ছবি গোটা দেশ জুড়েই। যার প্রভাবে কেনাবেচায় অনীহা দেখা দিয়েছে লগ্নীকারীদের মধ্যে। অতঙ্কে বহু মানুষই কেনাবেচা করতে রাজি নন।  তাই শেয়ার বাজারে মন্দা। ইয়েস ব্যাঙ্কের ভরাডুবির পর শেয়ার বাজারে যে পতন শুরু হয়েছিল প্রায় দেড় মাস পরেও তা অব্যাহত। 

Share this article
click me!