স্লিপার কোচ সহ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি প্রতি ঘন্টায় ২২০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। যাইহোক, এই অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি স্লিপার সংস্করণ ট্রেনগুলি ট্র্যাকে প্রতি ঘন্টা ২০০ কিমি বেগে চলবে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন সারা দেশে ভালো সাড়া পাচ্ছে। এজন্য এর নেটওয়ার্ক বাড়াতে কাজ চলছে দ্রুত। দেশ এখনও পর্যন্ত ৮টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে শুধু চেয়ার কারের ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু এখন স্লিপার কোচের ব্যবস্থাও শুরু হবে শীঘ্রই। রেলওয়ে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে একটি স্লিপার (বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন) সংস্করণ ডিজাইন করার পরিকল্পনা করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর মতে, স্লিপার কোচ সহ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি প্রতি ঘন্টায় ২২০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। যাইহোক, এই অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি স্লিপার সংস্করণ ট্রেনগুলি ট্র্যাকে প্রতি ঘন্টা ২০০ কিমি বেগে চলবে। এই চেয়ার কার সহ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি পর্যায়ক্রমে শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো করে সাজানো হবে বলে জানা গিয়েছে। স্লিপার সংস্করণটি রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির বিকল্প হতে চলেছে বলেও রেলসূত্রে খবর। ভারতীয় রেলওয়ে মোট ৪০০টি বন্দে ভারত ট্রেনের জন্য টেন্ডার জারি করেছে এবং এই মাসের শেষের দিকে কাজটি অনুমোদিত হবে বলে সূত্রের খবর।
ট্রেনের কোচগুলো স্টিলের তৈরি হবে
পরিকল্পনা অনুসারে, প্রথম ২০০টি বন্দে ভারত ট্রেনে শতাব্দী এক্সপ্রেস-স্টাইলের আসন ব্যবস্থা থাকবে এবং ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে ভ্রমণ করার জন্য ডিজাইন করা হবে। কিন্তু রেলপথের অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে তাদের গতি ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ রাখা হতে পারে। জানা গিয়েছে সব ট্রেনের বগি স্টিলের তৈরি হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে, ২০০টি বন্দে ভারত ট্রেন স্লিপার হবে এবং অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি হবে। স্লিপার বন্দে ভারত ট্রেনের দ্বিতীয় সংস্করণটি সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার বেগে চলবে। এর জন্য দিল্লি-মুম্বই, দিল্লি-কলকাতা রেলপথের ট্র্যাক মেরামত করা হচ্ছে, সিগন্যাল সিস্টেম, সেতু ঠিক করা হচ্ছে এবং বেড়া বসানো হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে আগামী দুই বছরে, তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের আইসিএফ, মহারাষ্ট্রের লাতুর রেল কারখানা এবং হরিয়ানার সোনিপাতে ৪০০টি ট্রেন তৈরি করা হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি এই ট্রেনের যাত্রা শুরু করেন। সবুজ পতাকা উড়িয়ে যাত্রা সূচনা হয়। হাওড়া স্টেশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁকে দেখে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দেয়। তাতে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মেজাজ হারিয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চে উঠতেই রাজি হননি। দর্শকের আসন থেকেই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন। যদিও তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।