দরিদ্র নাগরিকদের জন্য ভারতে সংরক্ষণ কোটা থাকবেই, মোদী সরকারের পক্ষেই রইল সুপ্রিম কোর্ট

দরিদ্রদের জন্য সংরক্ষণ নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। সেই সিদ্ধান্ত যে সম্পূর্ণ বৈধ, তা সমর্থন করেছেন এই মামলায় শীর্ষ আদালতের ৩ বিচারপতি।

Sahely Sen | Published : Nov 7, 2022 9:28 AM IST

ভারতের অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণি (ই.ডব্লিউ.এস)-দের জন্য কলেজ এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের পক্ষেই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। দরিদ্রদের জন্য সংরক্ষণ নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। সেই সিদ্ধান্ত যে সম্পূর্ণ বৈধ, তা সমর্থন করেছেন এই মামলায় শীর্ষ আদালতের ৫ বিচারপতির মধ্যে ৩ জনই। সোমবার তাঁরা জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক মানদণ্ডের বিচারে এই সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই বৈষম্যমূলক নয়।

সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমেশ ললিতের নেতৃত্বে গঠিত ৫ সদস্যের বেঞ্চে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালা। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, প্রধান বিচারপতি উমেশ ললিত এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট এই রায়ের বিরুদ্ধে মত দিয়েছিলেন। যদিও রায়দানের সময় বিচারপতি মহেশ্বরীর মত ছিল, অর্থনৈতিক মানদণ্ডের নিরিখে ই.ডব্লিউ.এস সংরক্ষণ আইন কোনওভাবেই সংবিধানের কাঠামো ভেঙে দেশের সাম্য রক্ষার নীতিকে লঙ্ঘন করে না। যদিও প্রধান বিচারপতি ললিত এবং বিচারপতি ভট্টের মত ছিল, এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা থেকে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির দরিদ্রদের বাদ দেওয়া অসাংবিধানিক।

এর আগে, সংবিধানের ১০৩তম সংশোধনীতে এই সংরক্ষণ ব্যবস্থার প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল মোদী সরকার। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত সংসদে পাশ হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। ঘটনাচক্রে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পরেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে গিয়েছিল বিজেপি। পাশাপাশি, মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জমা পড়েছিল। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, এই সংরক্ষণ ব্যবস্থায় সংবিধানের মূলগত সাম্যের নীতিকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত সংরক্ষণের ৫০ শতাংশ সীমা পার করছে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত, এমনও দাবি ছিল মামলাকারীদের।

যদিও, মোদী সরকার যখন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখন এর বিরোধিতা করেনি কংগ্রেস-সহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলগুলিই। এই মামলা নিয়ে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুনানির পর রায় সংরক্ষিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত। সোমবার রায়দানের সময় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্ট ছাড়া বাকিরা এই সংরক্ষণ ব্যবস্থার পক্ষেই রায় দিয়েছেন।

 

আরও পড়ুন-
কুকুরকে খাবার দিতে দেরি করায় ভাইকে লাথি মেরে পাঁজর ভেঙে দিল দাদা, কেরলে হাড়হিম করা খুন
বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র, এসটিএফের জালে ২০ বছরের মনিরুদ্দিন
প্রতিবেশীর ঝামেলার জেরে খুন করে বস্তাবন্দি করে ফেলা হল মাতৃহারা ছোট্ট শিশুকে, বালুরঘাটের ঘটনায় এলাকাজুড়ে অশান্তির আগুন

Read more Articles on
Share this article
click me!