সুরাট আদালতে রাহুল গান্ধীর আবেদন প্রত্যাখ্যান নিয়ে কংগ্রেস - বিজেপির তরজা, জানুন দুই দলের কথা

সুরাট আদালত রাহুল গান্ধীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তরজা শুরু। রায় চ্যালেঞ্জ করবে কংগ্রেস। রায়কে স্বাগত জানাল বিজেপি।

 

Web Desk - ANB | Published : Apr 20, 2023 3:41 PM IST

গুজরাটের সুরাটের আদালত বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মানহানির মামলায় দোষী স্থাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। সুরাট আদালতের এই রায় নিয়েই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস জানিয়ে রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার তারা গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে। অন্যদিকে বিজেপি জানিয়েছে এই রায় গান্ধীদের দর্প চূর্ণ করবে।

কংগ্রেসের বক্তব্য

কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবে। খুব তাড়াতাড়ি রায়কে চ্যালেঞ্জ জানান হবে। তিনি আরও বলেন, এই রায় ভুল ও আইনের প্রাথমিক নীতির পরিপন্থী। তিনি আরও বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজন যে এক্ষেত্রে ট্রায়াল কোর্টের আইনি সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর সিংভি নিজেই গুজরাট হাইকোর্টে রাহুল গান্ধীর হয়ে মামলা লড়তে পারেন। তিনি আরও বলেন, বিজেপি যে কোনও পদক্ষেপই নিক না কেন রাহুল গান্ধীর কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে বিজেপি সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার করতে চাইছেন।

বিজেপির বক্তব্য

সুরাটের আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, এই রায় গান্ধী পরিবার , বিশেষ করে রাহুল গান্ধীর ঔদ্ধত্যকে রীতিমত আঘাত করেছে। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস এই রায়কে এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে যাতে মনে হচ্ছে ট্রায়াল কোর্ট পুরোপুরি পক্ষপাতিত্ব করছে। কিন্তু এদিনের সেই ধারনা বদলে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন দেশের সাধারণ মানুষ, অনগ্রসর মানুষের জয়। এই রায় বিচার বিভাগেরও জয়। তিনি আরও বলেন, সুরাটের আদালতের রায়ে দেশে উৎসবের পরিবেশ তৈরি করেছে।

অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, এখনও সময় আছে রাহুল গান্ধী নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতেই পারেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে কংগ্রেসের রাজবংশের সদস্য দেশের ওবিসি সম্প্রদায়কে আক্রমণ করেছে।

বিরোধীদের বক্তব্য-

পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন এই রায় ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য একটি "কালো দিন"। হুল গান্ধীর সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হচ্ছে তা থেকে বোঝা যায় যে বিজেপি গণতন্ত্রকে শেষ করতে চায়। তারা একদলীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়

আদালতের মন্তব্যঃ

আপিলকারীর মতো এতজন ব্যক্তির কাছ থেকে নৈতিকতার মান আরও উন্ননত যাতে হয় তাই প্রত্যাশা করা হয়। বিচারক বলেছেন, ট্রায়ালকোর্ট যে সাজা দিয়েছে তা আইন অনুমোদিত।

সুরাটের মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্টেট আদলত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধীকে বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদীর দায়ের করা মামলায় ফৌজদারী মানহানির জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করার পরে তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিতে পারে। এই রায়ের একদিন পরেই ৫২ বছর বয়সী রাহুল গান্ধীর সাংসদ সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। তাঁকে সাংসদ কোটায় পাওয়া বাংলো ছাড়তে হয়।

আরও পড়ুনঃ

নরোদাগ্রাম দাঙ্গা মামলায় বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ ৬৭ জনকে খালাস করল আদালত, দাঙ্গার বলি ১১ জন

কেন রাহুল গান্ধীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হল? জানুন সুরাটের আদালতের পর্যবেক্ষণ ও বক্তব্য

সাজা স্থগিত না করার সিদ্ধান্ত সুরাট আদালতের, রাহুল গান্ধীর সামনে এখন আর কোন আইনী পথ খোলা?

 

Share this article
click me!