সূত্রের খবর ভারতের প্যাংগং সো হ্রদে চীনা আগ্রাসনের মোকাবিলা করতেই ভারতীয় কপস অফ ইঞ্জিনিয়াররা পূর্ব লাদাখের দুটি স্থানে দুটি নতুন ল্যান্ডিং ক্রাফট বসানোর পরিকল্পনা করেছে।
চীনের নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ভারতের সীমান্তকে সুরক্ষিত করতে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ৪৫০ টি ট্যাঙ্ক এবং ২২,০০০ সৈন্য রাখার সিদ্ধান্ত নিলো ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সূত্রের খবর ভারতের প্যাংগং সো হ্রদে চীনা আগ্রাসনের মোকাবিলা করতেই ভারতীয় কপস অফ ইঞ্জিনিয়াররা পূর্ব লাদাখের দুটি স্থানে দুটি নতুন ল্যান্ডিং ক্রাফট বসানোর পরিকল্পনা করেছে । যা কিনা চীন সীমান্তে টহল দিতে সক্ষম হবে । এবং সন্দেহভাজন কিছু বুঝতে পারলেই তৎক্ষণাৎ সেটি সেনাবাহিনীকে জানিয়ে , ভারতীয় সেনাদের সতর্ক করার কাজও করবে। এই ক্র্যাফটগুলির প্রত্যেকটি ৩৫ জন করে সেনা বহন করতে পারবে । এছাড়াও এটি ১২ জন সৈন্যকে নিজের মধ্যে ধরে রাখতে পারবে ।
গত দুই বছরে ২২,০০০ সৈন্যর বাসস্থান ও ৪৫০ টি যানবাহন নির্মাণের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত পরিকাঠামো গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক । বর্তমান মরশুমে সেটি থেকে ফোকাস সরিয়ে কেন্দ্র এখন স্থায়ী প্রতিরক্ষা নির্মাণের উপরই বিশেষ নজর দিচ্ছে । স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারপাল সিং বলেন, ' মরুভূমিতে বর্তমানে ৩ডি প্রিন্টেড স্থায়ী প্রতিরক্ষা নির্মাণে তৎপর হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্পস অফ ইঞ্জিনিয়ার্সরা । এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো যদিও পুরোপুরি পরীক্ষামূলক ছিল। তবুও এই স্থায়ী প্রতিরক্ষাটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে ছোট অস্ত্র থেকে টি ৯০ ট্যাঙ্কের প্রধান বন্দুক সবকটিকেই প্রতিরোধ করতে সক্ষম । এমনকি এটি বিস্ফোরণ প্রতিরোধও করতে পারবে। এছাড়াও এটির সবথেকে বড়ো বৈশিষ্ট্য হলো এটি ৩৬-৪৮ ঘন্টার মধ্যে শত্রু কবলিত জায়গাগুলিতে স্থাপন করে সেই জায়গাটিকে সুরক্ষিত করা যাবে এবং প্রয়োজনে এটি এক জায়গা থেকে ওপর জায়গায়তেও স্থানান্তরিতও করা যাবে।'
তিনি আরও বলেন যে পূর্ব লাদাখে ঠিক অনুরূপ এরকম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই এখন ট্রায়াল করা হচ্ছে। এবং খুব শীঘ্রই এটি কার্যকর বলে প্রমাণিত হবে বলেও আশা করছেন ফটেন্যান্ট জেনারেল হারপাল সিং। চীন সীমান্তে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের পরিকাঠামোগত ব্যবস্থার কথা তুলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায় যে বর্তমানে এমন নয়টি টানেল বিদ্যমান ভারতে। যার মধ্যে একটি প্রায় ২৫৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটিই বিশ্বের সর্বোচ্চ দ্বি টানেল । এছাড়া আরও ১১ টি টানেল নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত । তবে এই পরিকল্পনাধীন ১১ টি টানেল কবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে এখনও বিশদে জানা যায়নি কিছু । বিআরও নিয়মাতেও ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র যা কিনা চীনা ঘাঁটির খুব কাছে অবস্থিত। এবং এই বিমান ঘাঁটিটি নির্মাণ হলে ভারতীয় প্রতিরক্ষা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস ভারতীয় প্রতিরক্ষা দপ্তরের।
আরও পড়ুন
বছরের প্রথমার্ধেই ৮.১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি ভারতের তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রের, রিপোর্টে দাবি আইডিসি-র
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান কর্তা অভিজিৎ বসু পদত্যাগ, সঙ্গে সরলেন আরও অনেক ভারতীয়
শ্রদ্ধাহত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়, খুনের দিন ১৫ আগেই বাড়ি পরিবর্তন আফতাব পরিবারের