Tripura Violence: ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে 'একজোট' বাম ও কংগ্রেস, UAPA ধারায় মামলার তীব্র বিরোধিতা

রবিবার কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

Asianet News Bangla | Published : Nov 7, 2021 12:48 PM IST

ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক হিংসার (Tripura Violence) অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের জন্য ১০২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ত্রিপুরার বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল সিপিএম  (CPIM) ও কংগ্রেস (Congress)। সাংবাদিক, আইনজীবী, অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও জালিয়াতির অভিযোগসহ বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন  বা ইউএপিএ (UAPA) ধারায় মামলা করারও তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। 

আগেই পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবীর বিরুদ্ধ এইএপিএ ও ভারতীয় দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেছিল। পুলিশের অভিযোগ ছিল মুসলিমদের লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টগুলি ছিল যথেষ্ট বিতর্কিত। পুলিশের বক্তব্য ছিল পোস্টগুলির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বৈষম্য প্রচারও রীতিমত কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিল। তাই সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল, টুইটার, ফেসবুক ও ইউটিউবেই এই ধরনের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

Pakistan: 'সন্ত্রাসবাদের জন্য অর্থ সংগ্রহ' প্রমাণ হয়নি, হাফিজের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের ৬ সদস্যকে মুক্তি
রবিবার কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ত্রিপুরা কংগ্রেসের সভাপতি বিরাজিত সিনহা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন পানিসাগরের মসজিদে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা হামলা চালিয়েছিল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেছে। প্রথমে এই কাজ যারা করেছে তাদের গ্রেফতার করা উচিৎ। তিনি আরও বলেছেন যেসব আইনজীবীরা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তাদের কোনও অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি আরও বলেছেন তাঁরা কোনও সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়িয়ে দেননি। 

Aryan Khan Case: 'অপহরণ ও তোলাবাজির ষড়যন্ত্র BJPর', আরিয়ান মাদক মামলায় আরও চাঞ্চল্যকর দাবি NPC নেতার

অন্যদিকে সিপিএম-এর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আইনজীবীরা যখন রাজ্যের ঘটে যাওয়ার হিংসার কারণ অনুসন্ধানের জন্য পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ত্রিপুরা সফরে এসেছিলেন তখন তাদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিপিএম-র পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, যদি আইনজীবীরা কোনও রকম বেআইনি কার্যকলাপে লিপ্ত থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ আইনে মামলা করা যেত। ইউইপিএ ধারায় মামলা করার কোনও প্রয়োজন ছিল না। এজাতীয় কঠোর আইন প্রনয়ণ অসহিষ্ণুতা ছাড়া আর কিছুই নয়। 

viral video ছোট থেকেই কোভিড সচেতন শিশু, ক্ষুদের কাণ্ড দেখলে মন জুড়িয়ে যাবে আপনারও

যদিও ত্রিপুরা পুলিশ প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে কোনও মসজিদ পোড়ানো হয়নি। যে ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছিল সেগুলি ত্রিপুরার নয়।  সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত ছবি ও পোস্টের জন্যই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল বলেও দাবি করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৭১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে ৬৮টি টুইটার অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে সেগুলি ব্লক করার আবেদন জানান হয়েছে টুইটারের কাছে। অন্যদিকে সিপিএই ও কংগ্রেসের বিবৃতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ত্রিপুরা পুলিশের প্রধান অরিন্দম নাথ জানিয়েছেন, যাঁরা নিজেদের নির্দোষ মনে করেন তাঁদের পুলিশের কাছে এসে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিৎ।

Share this article
click me!