নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গত ৭২ ঘণ্টা ধরে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্বের অসম ও ত্রিপুরা। শুক্রবার আন্দোলন ছড়িয়েছে বাংলা সহ রাজধানী দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে ও কেরলায়।
গত সোমবার থেকেই নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গুয়াহাটির পথে নেমেছে অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (আসু)। দিল্লিতেও ক্রমেই ছড়াচ্ছে প্রতিবাদের আগুন। রাজধানীর জামিয়া নগরে স্থানীয়দের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন জামিয়া মালিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়ারা। বিক্ষুব্ধ জনতা ভেঙে দেয় পুলিশের ব্যারিকেড। সংসদ পর্যন্ত মিছিল করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জমা হন শতাধিক আন্দোলনকারী। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয় পুলিশকে। প্রায় ৪২ জন পড়ুয়াকে আটক করা হয়। বিক্ষোভকারীদের হামলায় আহত হন ১২জন পুলিশকর্মী।
যন্তর-মন্তরেও চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পথে নামেন জমিয়েত উলেমা-ই-হিন্দ। উত্তরপ্রদেশের নানা প্রান্তেও ছড়িয়েছে বিক্ষোভের আগুন। সাহারানপুর, মেরট, বরেলি, মুজাফ্ফরপুর, বিজনোর, শামলি, বাগপত ও আলিগড়ে পড়ে নামেন হাজার হাজার মানুষ। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা নতুন আইনের প্রতিবাদে মিছিল করেন।
পরিস্থিতি সামলেত মেরঠে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কেরলেও ছড়িয়েছে প্রতিবাদের আগুন। এদিকে গত ৭২ ঘণ্টা ধরে আন্দোলনের পর ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে ত্রিপুরা। কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছে গুয়াহাটিতে।