স্বাধীনতা দিবসের দিনই বীরচক্রের খেতাব নামের সঙ্গে জুড়ল কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের। এর আগে ২০০০ সালে ভারতীয় সেনা চুনি লাল এই সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। এই ঘটনার ১৯ বছর পরে এবার এই খেতাব আসতে চলেছে বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দনের হতে। এই অভিনন্দনই দেশকে সুরক্ষিত রাখতে বেশ কিছুদিন পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন। পাকিস্তান থেকে ফেরার পরেই স্থির হয় বীরচক্র সম্মানে ভূষিত করা হবে কম্যান্ডার অভিনন্দনকে ।
দিনটা ছিল ২০১৯ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি। এর ঠিক আগের দিনই বালাকোটে ভারতের এয়ার স্ট্রইক হয়। এর ঠিক পরের দিনই আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ভারতে ঢুকে পরে। পাকিস্তানের যুদ্ধ বিমান ঢুকে পরার ফলে ভারতীয় বায়ুসেনার ২টি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান ধেয়ে যায় তাদের দিকে। যার একটিতে ছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন। দুটি যুদ্ধ বিমান একত্রে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর এফ -১৬ জেট ধ্বংস করার সঙ্গে পাক হমলা ও বাঞ্চাল করে দেয়। এর পরেই বিপাকে পড়তে হয় অভিনন্দনকে। তাঁর বিমানটিকে পাকিস্তান থেকে আটক করা হয়। পাকিস্তার জেল হেফাজতে পাঠানো হয় তাঁকে। তিন দিন বন্দি করে রাখার পরে অবশেষে পয়লা মার্চ, ২০১৯ তাঁকে চাপে পড়ে মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর পরেই ভারতের প্রাণ পুরুষ হয়ে ওঠেন এই অভিনন্দন। নিজের জীবনের উপেক্ষা করে দেশকে শত্রুপক্ষের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ভারত সরকার থেকে তাঁকে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা হবে বলে স্থির হয়।
ভারতে যুদ্ধাকলীন পরিস্থিতিতে বীরত্বের জন্য বেশ কিছু সম্মান আছে। যার মধ্যে পরমবাীর চক্র হল সর্বচ্চো সম্মান। এরপরেই দ্বিতীয় সর্বচ্চ সম্মান হল মহাবীর চক্র। মহাবীর চক্রের পরই বীর চক্রের স্থান আর তাতেই ভূষিত হলেন বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। ভারতের জন্য তাঁর এই বীরত্ব তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করছে।