রানা কাপুরের নির্দেশেই ২০,০০০ কোটি টাকা ঋণ ইয়েস ব্যাঙ্কের, তালিকা রয়েছে অনিল অম্বানির সংস্থাও

  • ইচ্ছে মত ঋণ দেওয়ার অভিযোগ রানা কাপুরের বিরুদ্ধ
  • ২০,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল তাঁর সময়
  • ঋণের বিনিময় নিয়েছেন ৬০০ কোটি 
  • তালিকা অনিল অম্বানির সংস্থাও রয়েছে

Asianet News Bangla | Published : Mar 11, 2020 12:42 PM IST

ইয়েস ব্যাঙ্ক নিয়ে তদন্ত যত হচ্ছ ততই বাড়ছে টাকার অঙ্কের পরিমাণ। এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেটের তদন্তে এখনও পর্যন্ত টাকা তছরুপের পরিমাণ ২দশমিক ২৫ লক্ষ কোটি টাকা। যারমধ্যে এনপিএ অর্থাৎ নন পারফর্মিং অ্যাসেডের পরিমাণ প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা। তারমধ্যে প্রায় কুড়ি হাজার কোটি টাকা রানা কাপুর একাধিক নন ব্যাঙ্কিং ফাইন্যানসিয়াল কোম্পানিকে  হস্তান্তর করেছিলেন। টাকা ফেরত পাওয়ার আশা নেই দেখেও বড় বড় ১০টি গোষ্ঠীর ৪৪টি সংস্থাকে ঋণ দেওয়া হয়েছিল রানা কাপুরের নির্দেশে। যারমধ্যে রয়েছে সুভাস চন্দ্র, অনিল অম্বানির মত শিল্পপতিদের সংস্থাও। 

আরও পড়ুনঃ ৭ কংগ্রেস সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার, রাতে দিল্লির হিংসা নিয়ে বিবৃতি শাহর

এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই কক্স অ্যান্ড কিং, ডিএইচএলএফ সহ একাধিক সংস্থা থেকে ঋণ সংক্রান্ত ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছে। যেসব সংস্থা গুলিকে ঋণ দেওয়া হয়েছিল সেই সব সংস্থার মালিকের সঙ্গে ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রাক্তন কর্ণধার রানা কাপুরের সম্পর্কও খতিয়ে দেখছে ইডি। রানা কাপুরের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সিবিআইও।  সূত্রের খবর ২০১৮ সালে ইয়েস ব্যাঙ্ক ডিএইচএফএল (দেওয়ান হাউসিং ফিনান্স কর্পোরেশন লিমিটেড) সংস্থায় ৩৭০০ কোটি টাকা ডিবেঞ্চার হিসেবে  কোনও শর্ত ছাড়াই লগ্নি করেছিল। পরিবর্তে ডিএইচএলএফ থেকে পুরস্কারও পেয়েছিল। রানা কাপুরের মেয়ের সংস্থায়কে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল ওই সংস্থা। রানা কাপুরের মেয়ের সেই সংস্থা আবার রয়েছে স্ত্রী বিন্দু কাপুরের একটি কোম্পানির অধীনে। 

একই ছবি অনিল অম্বানির সংস্থার ক্ষেত্রেও। প্রায় নটি সংস্থা ১২,৮০০ কোটি টাকা এনপিআরের জন্য অ্যাকাউন্ট খুলে ছিল। সুভাস চন্দ্রনের এসেল গ্রুপও ১৬টি সংস্থার জন্য ৮,৪০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। সেই ঋণের অধিকাংশ ঋণই আনাদায়ী থেকে গেছে। এই সব লেনদেনকেই সন্দেহের চোখে দেখছেন তদন্তকারীরা। কারণ আর্থিক এই লেনদেনের জন্য সামনে খাড়া করা হয়েছিল রানা কাপুরের মেয়ের সংস্থাকে। কিন্তু যে সম্পত্তির পরিমাণ দেখানো হয়েছে তা খুবই কম। 

আরও পড়ুনঃ মদ্যপ অবস্থায় ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, ঘটনাস্থল সেই কাঠুয়া

জেট এয়ার ওয়েজ, এভারেডিসহ একাধিক রুগ্নপ্রায় সংস্থাকে কোটি কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রানা কাপুরের বিরুদ্ধে। সেইসব ঋণ অনাদায়ী থেকে যাওয়ায় ভরাডুবি হেয়েছে ইয়েস ব্যাঙ্কের। তেমনই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এদিনও আদালতে পেশ করা হয় রানা কাপুরকে। অন্যদিকে তদন্তের স্বার্থে ডেকে পাঠান হয়েছিল তাঁর স্ত্রী বিন্দু ও মেয়ে রোশনিকে। 

আরও পড়ুনঃ মধ্যপ্রদেশের সংকট নিয়ে মুখ খুললেন রাহুল, সিন্ধিয়া নয় নিশানায় মোদি

তবে ইয়েস ব্যাঙ্কের এই ভরাডুবির কারণে রীতিমত সংকটে পড়েছে ইসকন। সংস্থার প্রায় প্রচুর টাকা টাকা রয়েছে এই ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখায়। এই ব্যাঙ্কে রাখা গচ্ছিত টাকা থেকেই কলকাতার দুস্থ শিশুদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। টাকা তোলার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে ইসকন। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। 

Share this article
click me!