গতবছর তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করেছিল। তারপর থেকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই তালিবানদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল।
২০২১ সালের ১৬ আগস্ট তালিবানরা (Taliban) কাবুল (Kabul) দখল করেছিল। তারপর দেখতে এই সাত মাসে দেখতে প্রায় সমগ্র আফগানিস্তানে (Afghanistan) একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। এবার সেই তালিবানদের সঙ্গেই আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করল রাষ্ট্র সংঘ। রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৃহস্পতিবার তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছেন। তালিবানদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সহমত পোষণ করেছে রাষ্ট্র সংঘ।
গতবছর তালিবানরা দখল করেছিল। তারপর থেকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই তালিবানদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। রাষ্ট্র সংঘও তালিবানদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার পক্ষেই মত দিয়েছিল। কিন্তু তারই মধ্যে রাষ্ট্র সংঘ, আফগানদের জন্য ত্রাণের খাবার, ওষুধ ও জল পাঠিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার ইউএনএস একটি রেজুলেশন অনুমোদন করেছে। যা আফগানিস্তানে জাতিসংঘের রাজনৈতিক মিশনের নতুন এক বছরের ম্যান্ডেটকে নিষেধ করে যা দেশের শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছিল। নতুন এই রেজোলিউশনে মানবিক, রাজনৈতিক ও মানবাধিকার ফ্রন্ট সহযোগিতার বিভিন্ন স্তর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদিন রাষ্ট্র সংঘে ভোটদানে বিরত ছিল রাশিয়া। আফগানিস্তানের পক্ষে ভোট পড়েছিল ১৪টি।
আফগানিস্তানে রাষ্ট্র সংঘের মিশন এই নতুন আদেশটি শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকটে সাড়া দেওয়ার জন্যই গ্রহণ করা হয়েনি। আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা স্থাপন করাও এই রেজোলিউশনের মূল উদ্দেশ্য। আফগানিস্তানে শান্তি স্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বলেও রাষ্ট্র সংঘ জানিয়েছে। রাষ্ট্র সংঘে নরওয়ের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত বলেছেন আফগানিস্তানে শান্তি স্থাপনে এই পদক্ষেপ বিশেষ গুরুত্বপাবে।
যদিও আগে থেকেই তালিবান শাসনের ওপর নজর রেখেছিল বিশ্বের একাধিক দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলির বিবৃতিতে বলা হয়েছে তালিবানদের কাজের ওপর নজর রাখা হবে । এভাবে নাগরিকদের হত্যা মেনে নেওয়া হবে না। যৌথ বিবৃতিতে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরও ১৯টি দেশ সই করেছে। তালিবান সরকারের কাছে শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানান হয়েছে।
যদিও তালিবানরা এখনও পর্যন্ত রয়েছে নিজেদের মতই। পাল্টা তালিবানদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে সেদেশে এমন কোনও ঘটনাই নাকি ঘটেনি। হত্যাকাণ্ডের কোনও প্রমাণও নেই। তবে তালিবানদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই অভিযোগগুলির স্বাধীন তদন্তের অনুমতি তারা দেবে। সম্পর্ণ সহযোগিতা করবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক কোনও সংস্থা তালিবানদের বিষয়ে বা আফগানিস্তানের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। পাল্টা তালিবানদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তালিবানরা যথেষ্ট মানবিক।
শত্রুঘ্ন সিনহাকে তৃণমূলে আনতে বড় ভূমিকা প্রশান্ত কিশোরের, পাশে ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
৮ঘণ্টা নাকি তারও কম বা বেশি, ঠিক কতক্ষণ ঘুম জরুরি- জানাল নতুন গবেষণা
কংগ্রেসের ভাঙন কি আসন্ন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীর পরপর দুটি বৈঠক