হিন্দু বিরোধী হিংসার মধ্যেই বাংলাদেশ ঝড়ের মুখে দাঁড়িয়ে ইস্কন, জানুন কী কৃষ্ণ চেতনা আন্দোলন
বাংলাদেশে মৌলবাদী মুসলিমদের বড় টার্গেট ইস্কনের মন্দির বা সেন্টার। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কষ্ণ দাসকে। জানুন কেন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ইস্কন। হরে কৃষ্ণ আন্দোলনই বা কি?
Saborni Mitra | Published : Nov 29, 2024 10:35 AM IST
ইস্কন
ইস্কন হল হিন্দু দেবতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি অনুগত দল বা ভক্তদের সংগঠন। এর প্রতিষ্ঠাতা ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ।
ইস্কনের তথ্য
স্বামী প্রভুপাদ পকেটে একটি পয়সা ছাড়াই ৬৯ বছর বয়সে একটি কার্গো জাহাজে নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ করেছিলেন এবং কৃষ্ণ চেতনার কথা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।
ইস্কনের প্রতিষ্ঠা
১৯৬৬ সালে স্বামী প্রভুপাদ তাঁর অনুগামীদের নিয়ে আমেরিকার মেগাপলিসে ইস্কন প্রতিষ্ঠা করেন।
হরে কৃষ্ণ আন্দোলন
হরে কৃষ্ণ আন্দোলন ইস্কনের সঙ্গেই যুক্ত। ইক্সন দাতব্য ও ধর্মীয় আধ্যাত্মিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা।
হিপ্পিদের জন্য
মর্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭০ দশকের উত্তাল দিনগুলিতে হিপ্পিরা ইস্কনের মত সংস্থায় নিজেদের আধ্যাত্মিক সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছিলেন।
ইস্কনের বিস্তৃতি
বর্তমানে আমেরিকার গণ্ডী ছাড়িয়ে ইস্কন বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের একাধিক দেশে রয়েছে তাদের সেন্টার বা মন্দির।
ইস্কন কী
মিডিয়া অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী এই সংগঠন কোনও বিতর্কের জন্য তৈরি হয়নি। একটি আধ্যাত্মিক গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। হিন্দু ধর্মের সঙ্গেও এর যোগ রয়েছে।
হরে কৃষ্ণ করা
ইস্কনের অনুসারীদের হরে কৃষ্ণ বলা হয়। এদের মাথা কামান থাকে। ভারতীয় গেরুয়া বা সাদা পোশাক পরে। জপ, পুঁতির মালা ব্যবহার করে। চন্দনের তিলক কাটে কপালে।
হরে কৃষ্ণদের ধর্ম
এরা জপ করে, কৃষ্ণগীত করে। গান গায়। কৃষ্ণের ভক্তিমূলক গান করে। হিন্দু পাঠ্য ভগবত গীতা পাঠ করে। ধর্মীয় পন্য বিক্রি করে।
ইস্কন নিষিদ্ধ
সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ ইস্কন। দক্ষিণ আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়ায়ে সংগঠন রয়েছে। চিনে লুকিয়ে চলে ইস্কন। পাকিস্তান আফগানিস্তানের মতে একাধিক দেশে তেমন দেখা যায় না। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা চলছে।
নতুন দেশ
কোরিয়ায় সংগঠন নতুন কাজ শুরু করেছে। গায়ানায় সম্মানিত ওই সংগঠন। জার্মানি আর ব্রিটেনে এই সংগঠনের ভক্তদের যাতায়াত রয়েছে।