দেশ গড়তে প্রাণ দিলেন মুজিব, সেখানেই মাটিতে পড়ে তাঁর মূর্তি! বিশ্ব ধিক্কার জানাচ্ছে বাংলাদেশের আন্দোলনকে

গণআন্দোলন বা ছাত্র আন্দোলন যাই বলুন না কেন তার এমন চেহারা যে শেষে কিন্তু বাংলাদেশের ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভেঙে ফেললেন বিক্ষোভকারীরা। গোটা বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন করছে এ কেমন প্রতিবাদের ভাষা?

স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় সংকটের মুখে বাংলাদেশ। মুজিবুর রহমান না থাকলে যে দেশটাই তৈরি হত না সেদেশের জনগনের এমন রূপে ছি ছি করছে দুনিয়া। ধিক্কার জানাচ্ছে এপার বাংলার মানুষ।

গণআন্দোলন বা ছাত্র আন্দোলন যাই বলুন না কেন তার এমন চেহারা যে শেষে কিন্তু বাংলাদেশের ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভেঙে ফেললেন বিক্ষোভকারীরা। গোটা বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন করছে এ কেমন প্রতিবাদের ভাষা? যে দেশ, যে দেশের অধিকার নিয়ে এত লাফালাফি সেই দেশটাই তো তৈরি হত না যদি না বাংলাদেশের পিতা মুজিবুর রহমান না থাকতেন। তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে সারা দেশ।

Latest Videos

সোমবার শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই শুরু হয়ে যায় বঙ্গবন্ধুর মূর্তির গলায় দড়ি পড়িয়ে সেই মূর্তি ভাঙার কাজ। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর মূর্তির মাথায় চেপে বসেছে একজন। সে হাতুড়ি দিয়ে মুজিবের মুখে এবং হাতে আঘাত করছে।

অবাক লাগে এই মুজিবই নিজের জীবন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য দিতে তিনি সর্বদা প্রস্তুত ছিলেন। কারাগারকে তো ভয় পেতেনই না। বলা হয় বাংলাদেশ যে স্বাধীন হয়েছে, এটা দেশের মানুষ স্বাধীন হয়ে একটা দেশ বানাতে চেয়েছিল বলে সম্ভব হয়েছে। আর দেশের মানুষ যে এই স্বপ্নে বিভোর হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, পুরোটাই হয়েছিল এক জাদুকরের জাদুর কাঠির সম্মোহনে। তিনি ছিলেন শেখ মুজিব। তাই আজ প্রশ্ন উঠছে মৃত্যুর ৫০ বছর পর এটাই কি প্রাপ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর?

শহীদ সোহরাওয়ার্দী আর শরৎ বসু মিলে ১৯৪৭ সালে চেষ্টা করেছিলেন একটা স্বাধীন বৃহত্তর বাংলা প্রতিষ্ঠার। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় বাংলা ভাগ হয়ে যায়। পশ্চিম বাংলা গেল ভারতে। পূর্ব বাংলা হলো পাকিস্তানের অংশ। শেখ মুজিব সেদিন থেকেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। শুধু স্বপ্ন দেখলেই হয় না। স্বপ্ন পূরণের জন্য চেষ্টা করতে হয়। বলা হত রাজনীতির জন্য মুজিবের মতো খাটতে আর কেউই পারত না। পাকিস্তান হওয়ার পরে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। 

সারা দেশ ঘুরে ঘুরে সংগঠন তৈরি করেছিলেন। বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে হবে, এই লক্ষ্য থেকে তিনি কখনো সরেননি। ১৯৬০-এর দশকে একবার তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলা চলে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেহরু। তিনি নেহরুর কাছে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত কীভাবে সাহায্য করতে পারে! কারণ মুজিব চেয়েছিলেন পাকিস্তানের অবহেলা, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে বাঁচাতে।

আবার কি কখনও তাঁর ভাঙা মুর্তিকে সম্মান জানানো হবে! আবার কি কখনও এই মূর্তি উঠবে? রীতিমত ধিক্কার জানাচ্ছে এপার বাংলার মানুষ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!

Latest Videos

‘Hindu-দের কষ্টের সময় Mamata Banerjee-র চোখে ন্যাবা হয়ে যায়’ মমতাকে চরম তুলোধোনা Dilip Ghosh-এর
‘Trinamool Bangladeshi-দের সুবিধা করে দিচ্ছে’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন
'তৃণমূলের মাফিয়ার কাজ করে মাসে এক কোটি কামায় পুলিশের IC', বিস্ফোরক মন্তব্য Suvendu Adhikari-র
‘Mamata Banerjee-র সরকার আমাদের সবকিছু দখল করবে’ বিস্ফোরক মন্তব্য Suvendu Adhikari-র, দেখুন
দেখে নিন Uorfi Javed-এর মাঝ আকাশে ভয়ানক স্টান্ট! #shorts #shortsvideo #shortsfeed #shortsviral