২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে স্মৃতিসৌধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে বার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ। সেই কারণে বাংলাদেশ স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সৈন্যদের জন্য একটি যুদ্ধ স্মারক তৈরি করেছে। সেটির উদ্বোধনও হয়েছে। এটির মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতীয় সশস্ত্র সেনা বাহিনীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। কারণ ৭১এর যুদ্ধে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে স্মৃতিসৌধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে আশুগঞ্জে চার একর জায়গা নিয়ে স্মৃতিসৌধটি তৈরি করা হয়েছে। এটির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ যুদ্ধের সময় এই এলাকাটিতে ছিল তীব্র যুদ্ধের পটভূমি। এই সৌধে ১৬০০ জন ভারতীয় শহিদের নাম খোদাই করা হবে। সৌধের নকশা দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্বের একটি মূর্ত প্রতীক।
বাংলাদেশ সূত্রের খবর এটি আমরণ বন্ধুত্বের থিমের ওপর তৈরি করা হয়েছে। কাঠামোটি দেখতে পাঁজরের মত। যা প্রতিরক্ষার প্রতীকী। মন আর আত্মাকে সুরক্ষিত করার প্রতীক। এটি সাহসী সৈনা বাহিনীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত শান্তির প্রতীক। ব্যাখ্যা দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির। তিনি বীর প্রতীক ও পদ্মশ্রী প্রাপক।
স্মৃতিসৌধের প্রধান ডিজাইনার আসিফুর রহমান ভূঁইয়া, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, একাত্তরের একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশরাত জাহান। স্মৃতিসৌধের মাঠটি দর্শকদের একটি নির্মল এবং তথ্যপূর্ণ অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে শহীদদের সম্মানে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান, একটি যাদুঘর, একটি বইয়ের দোকান, একটি শিশু পার্ক এবং জনসাধারণের সুবিধার জন্য একটি ফুড কোর্ট রয়েছে ।
১৯৭১ সালে যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল বাংলাদেশে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান নাম পরিচিত ছিল। শাসকের বিরুদ্ধে গণবিদ্রোহের প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়ছিল বাংলাদেশে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী অপারেশন সার্চ লাইট শুরু করেছিল। গণহত্যা করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। ক্রমবর্ধমান হিংসার কারণে ভারত বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনে ১৯৭১ সালে ৩ ডিসেম্বর যুদ্ধে সামিল হয়। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনা বাহিনী আত্মসমর্পণ ও বাংলাদেশ স্বাধীনতার যুদ্ধে জয়ী হয়। তাতে যুদ্ধে ইতি ঘটে।
এই দিনটিকে ভারত বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে। যা শুধুমাত্র সৈন্যদের আত্মত্যাগই নয়, এই জয় দুই দেশের কাছে বন্ধুত্বের প্রতীক হয় রয়েছে। যা দুই দেশের ইতিহাসেও গুরুত্বপূর্ণ।