আক্রান্তের সংখ্যায় জার্মানিকে ছাড়াল ব্রাজিল, জিম ও বিউটিপার্লার খুলতে মরিয়া বলসোনারো

 

  • বিশ্বে করোনা সংক্রমণের নতুন হটস্পট ব্রাজিল
  •  লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশকে ছাপিয়ে গিয়েছে
  • করোনা আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে বিশ্বে ৬ নম্বরে রয়েছে 
  • এর মধ্যেই দেশবাসীকে ঘরে থাকা বন্ধ করতে বলছেন প্রেসিডেন্ট

Asianet News Bangla | Published : May 13, 2020 7:19 AM IST / Updated: May 13 2020, 12:53 PM IST

ক্রমেই পরিস্থিতি জটি হয়ে উঠছে। বিশ্বে করোনাভাইরাসের নতুন হটস্পট হয়ে উঠেছে ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় লাতিন আমেরিকার এই দেশে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৮৮১ জনের। প্রাণঘাতী ভাইরাসের তাণ্ডবে আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে জার্মানিকেও ছাড়িয়ে গেছে দেশটি।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের  দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ২১৪। অপরদিকে জার্মানিতে এখন পর্যন্ত সংক্রনণের শিকার হয়েছেন  ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৭১ জন। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৪৬১ জনের এবং জার্মানিতে মারা গেছে ৭ হাজার ৭৩৮ জন।

ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনা সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন  ৭২ হাজার ৫৯৭ জন। দেশটিতে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ৯৩ হাজার ১৫৬টি। তবে এখন পর্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন  ৮ হাজার ৩১৮ জন। ব্রাজিলের চেয়ে জার্মানিতে সুস্থতার হারও বেশি। দেশটিতে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ২০০ জন। জার্মানিতে বর্তমানে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ১৮ হাজার ২৩৩টি। এখনও পর্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন  ১ হাজার ৫৩৯ জন।

এবার দেশেই তৈরি হচ্ছে রেমডেসিভির, ৪টি ভারতীয় সংস্থার হাত ধরে পৌঁছবে বিশ্বের ১২৭টি দেশে

জীবনভর বাড়িতে বসেই কাজ করতে পারবেন কর্মীরা, করোনা বিশ্বে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ট্যুইটারের

দেশে কপর্দক শূন্য হতে চলেছে এক তৃতীয়াংশ পরিবার, চতুর্থ দফার লকডাউন শুরুর আগেই আশঙ্কার মেঘ

শুধুমাত্র গত ২৪ ঘন্টায় ব্রাজিলে করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছেন ৯ হাজার ২৫৮ জন। আক্রান্তের সংখ্যার দিকে দিয়ে বর্তমানে বিশ্বে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেনের পরেই রয়েছে ব্রাজিলের অবস্থান। 

আমেরিকান স্বাস্থ্য সংস্থার কমিউনিকেবল রোগ বিভাগের প্রধান মার্কোস এসপিনাল জানিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন ধরেই ব্রাজিলের যে পরিস্থিতি তা উদ্বেগ তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাজিলে আক্রান্তের  সংখ্যা আরো অনেক বেশি। গত  সপ্তাহে প্রকাশ পাওয়া গবেষণার লেখক ডোমিংগো আলভেস বলছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়া মানুষের পরিসংখ্যান বলছে দেশে প্রকৃত সংক্রমণের সংখ্যা সরকারি হিসেবের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি। তবে এইসবি বিষয়ে একেবারেই মাথা ঘামাতে রাজি নন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো। বরং দেশকে দ্রুত স্বাভাবিকের পথে ফেরাতে মরিয়া বলসোনারে।

এর আগে করোনাকে সামান্য ফ্লুর সাথে তুলনা করেছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেউর বলসোনারে। দেশের আ়ঞ্চলিক প্রদেশগুলো লকডাউনের পথে হাঁটলেও তা একেবারেই না পসন্দ ছিল প্রেসিডেন্টের। বরং দেশবাসীকে ঘরে থাকা বন্ধ করতে বলেছিলেন তিনি। এমনকি স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা সংক্রমণ এড়াতে লকডাউনের প্রস্তাব দেওয়ায় তাঁকেও সরিয়ে দেন বলসোনারো। এবার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশে নানা প্রান্তে জিম ও বিউটিপার্লারগুলি খুলে দেওয়া নিয়ে প্রাদেশিক সরকারগুলির সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন তিনি। 

প্রথমদিকে ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম ছিল। বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে ব্রাজিল লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশকে ছাপিয়ে গিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারে বিশ্বের  শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বলসোনারোর দেশ।

Share this article
click me!