২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভারত মহাাগরীয় অঞ্চলে দেখা মেলেনি চিনা পরমাণু-অস্ত্র বহনকারী বা কোনও সাধারণ সাবমেরিনের। শেষবার ভারতের জলসীমার কাছাকাছি পরমাণু-অস্ত্র বহনকারী চিনা সাবমেরিন দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে সেইবার ওই সাবমেরিন ও তার উদ্ধারকারী ভেসেল দুটিই এসেছিল কলম্বো পর্যন্ত।সেখান থেকেই ফিরে গিয়েছিল। তারপর থেকে আর চিনা সাবমেরিন চোখে পড়েনি ভারতমহাসাগরের আশপাশে।
অথচ ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রত্য়েক তিন মাস অন্তর ভারতীয় নৌসেনার রেডারে চিনা সাবমেরিন ধরা পড়ত। তারা হয় পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিবুটি-তে অথবা পাকিস্তানের করাচি বন্দরে যেত। ২০১৩ সাল থেকে শুরু হয়েছিল চিনা ডুবো-যুদ্ধজাহাজের বারত মহাসাগরে আনাগোনা। চিনের পূর্বদিক থেকে সমুদ্রপথে যাত্রা শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্য দিয়ে এসে 'মালাক্কা স্ট্রেইট' অতিক্রম করে তারা বারত মহাসাগরে পড়ত।
ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরে যুদ্ধ জাহাজ পাঠানোর পিছনে তাদের যুক্তি ছিল, এই ভাবে তারা জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। কিন্তু, জলদস্যুরা যেখানে সাধারণ মানের জাহাজ ও অস্ত্র ব্যবহার করে, সেখানে তাদের নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর কী দরকার এই প্রশ্ন বারবারই উঠেছে। মনে করা হয়, সমুদ্রপথে বানিজ্য়কে সুরক্ষিত রাখতে ও বিশ্বের অন্যতম সেরা নৌ-শক্তি হয়ে ওঠার চেষ্টাতেই তারা নৌশক্তির সম্প্রসারণের চেষ্টায় ছিল।
গত কয়েক বছরে হঠাতই এই উদ্যোগে ভাটা পড়ায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মনে করছে চিনা নৌসেনা বাহিনীর সম্ভবত নিজেদের দেশ থেকে সাগর পথে বহুদূরে ছড়িয়ে পড়ার মতো যথেষ্ট শক্তিই নেই। এর আগেও লক্ষ্য করা গিয়েছে দীর্ঘ সাগরপথ অতিক্রম করে ভারত মহাসাগরে উপস্থিতি জানান দিতে গিয়ে চিনা সাবমেরিনগুলি রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যায় পড়েছে। এই কারণেই ভারত মহাসাগরে নৌশক্তি জাহির করার রাস্তা থেকে তারা সরে এসেছে বলেই খবর মিলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে।