টানা দশ মাস ধরে চলা অস্থিরতার পর অবশেষে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় থেকে সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে চিন। সেনাবাহিনীর প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সেনার পাশাপাশি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সমরসজ্জাও। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অস্থায়ী পরিকাঠামোগুলি। উপগ্রহ চিত্রেও দেখা গেছে লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে চিন ও ভারত দুই দেশের সেনাও সরে এসেছে। কিন্তু চিন ভারত সম্পর্ক অত্যান্ত জটিল হওয়ায় এখনও জোর গলায় বলা যায় না দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে।
বৃহস্পতিবার চিন জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখ সেক্টর ছেকে চিনের পাশাপাশি ভারতও তাদের ফ্রন্টলাইন সেনা কর্মীদের সুষ্ঠুভাবে সরিয়ে নিচ্ছে। সেনা সরানোর কাজ ভালোভাবে চলছে বলেও দাবি করেছে চিন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মুখপাত্র কর্নেল উ কিয়ান জানিয়েছিলেন পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু করবে দুই দেশ। পরের দিনই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং চিনের দাবিতে সিলমহর দিয়েছেলিন।
মমতার দাবি জাকির হোসেনের ওপর হামলার দায় রেলের, জঙ্গি হামলার জল্পনা ওড়াল রেলের সূত্র ...
শ্যুটআউট মুর্শিদাবাদে, সুপারি কিলারদের নিশানায় এবারও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা .
চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকেরমুখপাত্র হুয়া চুনিং বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যান্ত মসৃণতার সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে। লক্ষ্যে পৌঁছাতে ভারত ও চিন উভয় দেশই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছে। একাধিকবার আলোচনার পরই সেনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানান। দুই দেশের সেনাই মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে এসেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুরো ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে ভারতের এক প্রাক্তন সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন পুরো বিষয়টিকে হারজিত এই আয়নায় দেখা ঠিক নয়। কারণ এজাতীয় ক্ষেত্রে কোনও দেশই একতরফাভাবে জয়ী হয় না।