মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধে সেরে যায় করোনা , দাবি রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের

মাদকাসক্তদের জন্য ব্যবহৃত ওষুধে করোনা সারে
দাবি রাশিয়ার একদল বিজ্ঞানীর
তথ্য প্রমাণ দিয়ে তাঁরা দেখিয়েছন
প্রয়োগ করেছেন একাধিক রোগীর ওপর 

Asianet News Bangla | Published : Aug 7, 2020 1:05 PM IST / Updated: Aug 07 2020, 07:49 PM IST

মাদকাসক্তদের চিকিৎসার জন্য যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয়, সেগুলি সার্স কোভিড-২-এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে রীতিমত সক্ষম। এমনই ছবি ধরা পড়েছে নতুন একটি গবেষণায়। রাশিয়ার ন্যাশানাল রিসার্চ ইউনিভার্টিসি হায়ার স্কুল অব ইকোনমিস্কের গবেষক উল্লেখ করেছেন যে করোনাভাইরাসটির কাঠামোগত উপাদানগুলি ওই জাতীয় ওষুধ প্রয়োগে অনেকটাই হ্রাস পায়। বাধা পায় বিবর্তন। তাই মাদকাসক্তদের জন্য যে জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেই জাতীয় ওষুধ বর্তমানে তাঁরা করোনা আক্রান্তদের ওপর প্রয়োগ করছেন।

রাশিয়ার ওই গবেষক দল আরও বলেছে একটি স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কার্যকর ওষুধ অন্য রোগের  ওপর ব্যবহার করলে তা কার্যকর হতে পারে না। মেন্ডেভিলা কমিউনিকেশন জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে সার্স কোভিড-২  মূলত থাকে প্রোটেস্ট এম প্রো। আর ওই ওষুধগুলি প্রোটিনটাইকেই ভেঙে দিতে সক্ষম হয়। মিউটেশনের বিরুদ্ধ প্রতিরোধী হওয়ার পাশাপাশি এম করোনাভাইরাস রূপে প্রধান ভূমিকা পালন করে। যার অর্থ হল শরীরের অভ্যন্তরে ভাইরাসটিকে বাড়তে না দেওয়া। পাশাপাশী ভাইরাসটিকে ধ্বংস করে দেওয়া। 

গবেষকদলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে তার অধিকাংশই মার্কিন ফুড অ্যান্ড মেডিসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দ্বারা অনুমোদিত। তথ্য প্রমান অনুযায়ী সালফারযুক্ত ওষুধগুলি করোনাভাইরাসের প্রধানত প্রোটেস এমপ্রোর সক্রিয় কেন্দ্রে অস্বাভাবিকভাবে কাজ করে। কেবলমাত্র ডিসলফেরাম ৪ স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়। 

করোনা প্রতিষেধক বাজারে আনতে মরিয়া সেরাম, দাম কমাতে ভারতীয় সংস্থার পাশে বিল গেটস...

পেশী নিয়ন্ত্রণে বারবার ব্য়র্থ ক্ষুদে গজরাজ, আর সেই ভিডিও ভাইরাল হল নেটদুনিয়ায়.

মাদকাসক্তির চিকিৎসার জন্য সাধারণত ব্যবহৃত হয় ডিসুলফিরাম, এটি সার্স কোভ-২ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রীতিমত কার্যকরী। তাঁরা আরও জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলির সঙ্গে লড়াই করার জন্য গ্লুটাথিয়নের ব্যবহার করে দেখা হয়েছে। আর তা থেকে উল্লেখযোগ্য় ফল পাওয়া গেছে বলেও জানান হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন ২৭ জুলাইয়ের পরীক্ষার ফলে প্রমাণিত হয়েছে ডিসফুলিরাম ১০০ এনএম  এম প্রোকে বাধা দিতে সক্ষম। যা দেহের অভ্যন্তরে তৈরি হওয়ার করোনাভাইরাসের পরিকাঠামো ভেঙে দিতে পারে। 

'চাকরি প্রার্থীর পরিবর্তে চাকরিদাতা তৈরি করাই উদ্দেশ্য', জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে মন্তব্য মোদীর...
 

Share this article
click me!